সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবু সাঈদ ওরফে শুইকা (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবী শুইকা ডাকাত দলের সদস্য ছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও হত্যাসহ আটটি মামলা ছিল। নিহত ব্যক্তি স্থানীয় জোরকারদিয়া এলাকার নাজিম মিয়ার ছেলে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ছোরা ও একটি সাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হোন। এরা হলেন এসআই সিরাজ (৪৭), এএসআই সবুজ চন্দ্র দাস (৩৮), কনস্টেবল লিটন মিয়া (২২) ও রফিকুল ইসলাম (৩৮)।
স্থানীয় হাইজাদী ইউপির তিলচন্দ্রী এলাকায় জৈনক ছানাউল্যার ভিটা বাড়ির সামনে রোববার রাত সোয়া ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকালে স্থানীয় দুপ্তারা ইউপির গির্দা এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মোতাবেক রাত পৌনে ২টা থেকে সোয়া ৩টা পর্যন্ত অভিযার চালানো হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় তিলচন্দ্রী এলাকায় ছানাউল্যার ভিটাবাড়ির সামনে পৌঁছলে আগে থেকেই ঘটনাস্থলে ওঁৎপেতে অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সদস্যরা ধৃত আবু সাঈদকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়লে ডাকাত সদস্যরা পিছু হটে। ডাকাত সাঈদ ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হোন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের চার সদস্যও আহত হোন।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত ডাকাত সদস্যের নামে ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে করা আটটি মামলা ছিল। তার দেয়া তথ্য মোতাবেক ডাকাত দলের অনস্যদের গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ডাকাত সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনায় সে মারা যায়। এ সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হোন। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়েছিল।