সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীদের জন্য ৮তলা বিশিষ্ট বার ভবন নির্মাণের প্রথম তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হওয়ার পর আইনজীবীদের ব্যাপক প্রসংশায় ভাসছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। এবার দুই আইনজীবী নেতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোস্তফা করিম। তিনি রীতিমত বোমা ফাটিয়েছেন নানা তথ্যে মন্তব্য করে। এর আগেও দুই আইনজীবীকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান খোকন।
২ নভেম্বর অ্যাডভোকেট মোস্তফা করিম তার ফেসবুকে লিখেন, নারায়ণগঞ্জ বারে শুদ্ধি অভিযান। গত ৩০/৩৫ বছরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির গোটা কার্যক্রম নিয়ে যদি তদন্ত করানোর সুযোগ পাওয়া যায়, তবে দেখা যাবে চরম অনিয়ম আর হিসাবের গড়মিল, অপচয়, আর অর্থ তসরুপের ঘটনা।
তিনি এও লিখেছেন, এতদিন নির্বাচন হয়েছে, নতুন কমিটি এসেছে, গেছে…কিন্তু সাধারণ আইনজীবী সদস্যদের নিকট স্বচ্ছভাবে কেউই শক্ত জবাবদিহিমূলক কোন নীতিমালা দাড় করাতে পারেনি। সমিতির বছরে আয় হয় কোটি টাকার উপরে। কিন্তু কমিটির নেতারা তা তাদের খেয়ালখুশি মত খরচ করেছেন এতদিন। কোন জবাবদিহি নেই। খরচের স্বচ্ছতাও নেই।
তিনি জুয়েল মোহসীনের প্রশংসা করে লিখেন, চরম প্রতিকূল অবস্থায় থেকেও বরতমান জুয়েল-মোহসীন পরিষদ সমিতির হিসাবের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, বারের নিয়মে শক্ত হস্তে বার পরিচালনা করা, টাউট উচ্ছেদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ইউনিফর্ম ও আইনজীবী সহকারীদের ইউনিফর্ম চালু করা, ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতিতে বেনাভোলেন্ট ফান্ড ও এলডিপিএস সফলভাবে চালু করা এবং সর্বোপরি ২৯ অক্টোবরে ৮ হাজার স্কোয়ার ফিটের বারের ৮ তলা ভবনের প্রথম ছাদ ঢালাই সু-সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে এখন সাধারণ আইনজীবীদের মাঝে জুয়েল-মোহসীনের প্রতি আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্বাস বহুগুণ বেড়ে গেছে।
তিনি আরও লিখেন, জানা গেছে ইতিমধ্যে তারা সদস্যদের ব্যক্তিগত স্মার্ট কার্ড, মাস্টারকার্ড এবং বারের ওয়েবসাইট হালনাগাদ করার কাজেও হাত দিয়েছেন যা কিনা অচিরেই পাওয়া যাবে। সকলের দাবি যেমনিভাবে জুয়েল-মোহসীন পরিষদ, যে হৃদমে ধারাবাহিকভাবে ডিজিটাল বার ভবনের ছাদ ঢালাই করতে সক্ষম হয়েছেন পুরো ভবনের কাজ সেই হৃদমে শেষ করতে তাদের অন্তত ৬ মাস সময় দেয়া প্রয়োজন। সকলেই মনে করেন, দেশে বর্তমানে শেখ হাসিনার যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, তা নারায়ণগঞ্জ বারে গত দুই বছর আগে থেকেই চালু করেছেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও মোহসীন মিয়া পরিষদ।