সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীবের বিরোধ এখন তুঙ্গে। একজন আরেকজনের সামনে দিয়ে চলে গেলেও কেউ কারো সঙ্গে কথাও বললেন না। দুজন দুজনের দিকে তাকাননি। অনেকটা মুখ দেখাদেখীও হলোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারির। যদিও সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে দুজনই দাবি করেছেন কেউ কাউকে দেখেননি।
জানাগেছে, ৬ নভেম্বর বুধবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে পৃথক দুটি মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন মশিউর রহমান রনি ও খায়রুল ইসলাম সজীব। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে দিয়ে বের হয়ে সজীব তার আইনজীবীর চেম্বারের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় মশিউর রহমান রনি প্রধান ফটক দিয়ে আদালতপাড়ায় প্রবেশ করেন। কিন্তু কেউ কারো সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতও করেননি। একজন আরেকজনের দিকেও তাকাননি। যদিও ওই সময় সজীবের সঙ্গে ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ। রনি রিক্সা থেকে নেমে একাই কোর্টের ভেতরে প্রবেশ করেন।
সভাপতি মশিউর রহমান রনি আপনাদের সামনে দিয়ে চলে গেল কিন্তু আপনি কথাও বললেন না জানতে চাইলে সজীব বলেন, ‘আমি তো সভাপতিকে দেখিনি।’ একই প্রশ্নে মশিউর রহমান রনিও বলেন, ‘আমি সেক্রেটারিকে দেখিনি।’ যদিও দুজন অনেকটা মুখোমুুখী সামনে দিয়েই দুজন দুদিকে চলে গেলেন। তবে হাজিরা শেষে সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীও আদালতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফটোসেশন করেন। কিন্তু তাদের দুজনকে একসঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্ব ও কমিটি গঠন নিয়ে কয়েকমাস যাবত সভাপতি ও সেক্রেটারির বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। দুজনই দুজনের মত করে কর্মসূচি পালন করছেন। ইতিমধ্যে জেলা ছাত্রদলের দুটি ব্যানারে কর্মসূচি পালন করেছেন শীর্ষ দুই নেতা। আলোচনা ওঠেছে সজীব সভাপতি পদে আসতে চাচ্ছেন।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, কমিটি গঠনে নিষেধাজ্ঞার পূর্বে রনির কাছে বিভিন্ন থানার কমিটিগুলো গঠনের জন্য চাপ দিয়েছিল অন্যান্য নেতারা। কিন্তু রনি সেটা করেননি। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সারাদেশে কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে নির্দেশনা দেন। ফলে কমিটি আর গঠন করা হয়নি। যে কারনে রনিকেই দোষারোপ করছেন নেতারা। আরও জানাগেছে, কমিটির অন্যান্য নেতারা চাচ্ছেন জেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে সজীবকে নেতৃত্বে এনে পুণরায় কমিটি গঠন করতে। এসব বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ।