সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ যে ভয়াল রূপ নিয়ে এগিয়ে আসছিল অবশেষে সে অনুযায়ী থাবা বিস্তার করতে পারেনি। বাড়িঘর, গাছগাছালিসহ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে, তবে তা ব্যাপকভাবে হয়নি। এর প্রধান কারণ, ভয়ংকর রূপ নিয়ে এগিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়টির সামনে অনেকটা বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় সুন্দরবন। ফলে ‘বুলবুলের’ গতি কমে অনেকটা দুর্বল হয়ে খুলনা উপকূলে আঘাত হানে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের সাগরদ্বীপে আঘাত করে। এরপর এটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের খুলনা অংশে ঢুকে পড়ে। দুই দেশের সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশের মানুষ বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায়।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। যখন ঘূর্ণিঝড় জলভাগের ওপর দিয়ে চলে, সেই জলভাগ ঘূর্ণিঝড়ের ওপর তেমন শক্তি প্রয়োগ করতে পারে না। কিন্তু স্থলভাগে গাছ, স্থাপনা দাঁড়ানো থাকে। এগুলোর সঙ্গে সবসময় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ঘূর্ণিঝড়, বাধাপ্রাপ্ত হয়; এ কারণে ওর মধ্যে রিটার্নিং ফোর্সের (বিরোধী শক্তি) কারণে গতি আস্তে আস্তে কমে যায়।’
আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের তিন দিকেই সুন্দরবন জুড়ে ছিল। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, সুন্দরবনের কারণে তার অবস্থানের পরিবর্তন কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিজস্ব শক্তিও কমে আসে। এ কারণে উপকূল অতিক্রম করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘক্ষণ সময় লেগেছে।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ শঙ্কা কেটে যাওয়ায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এর প্রভাবে দুদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত থাকলে আস্তে আস্তে জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।