সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
এক এগারোর সময় বিএনপির নেতৃত্ব থেকে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে অন্যতম সংস্কারবাদী বিএনপির সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুুল কালাম। দলকে সংস্কারের নামে ওই সময় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন যারা তাদের মধ্যে ছিলেন তিনিও। সেই আবুল কালামের অনুগামীরা এবার জাতীয়পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সহধর্মিনী বিদিশা এরশাদের প্রতিষ্ঠিত বিদিশা ফাউন্ডেশনে জড়িত থাকার তথ্য ফাঁস করেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা। ছবি সহ একটি সংবাদ প্রকাশের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানাগেছে, বহুল প্রচারিত দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকায় মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের ঘনিষ্ঠজন অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও অ্যাডভোকেট রুবায়েত হোসেন সায়েমের ছবি সহ বিদিশা ফাউন্ডেশনে সম্পৃক্ত থাকার খবর প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে টিপু বর্তমানে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এবং সায়েম সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। এর আগে বিদিশা এরশাদ ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি রাজনীতিতে আসছেন এবং তার সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের যোগাযোগ রয়েছে। কারন তিনি দাবি করেছিলেন বিএনপি তো শেষ। যদিও পরবর্তীতে তিনি ওই বক্তব্যের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। এখন আবুল কালামের লোকজন যখন বিদিশা এরশাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত তখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে আবুল কালাম কি বিদিশার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কিনা? নাকি তিনি তার নেতাকর্মীদের গোপনে বিদিশার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন যাতে ভবিষৎে বিএনপির কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এমপি হওয়ার লোভে সেখানে যোগদান করবেন! পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে তোলপাড় হয় যখন আবুল কালামের ঘনিষ্ঠ গোলজার খান নামে এক বিএনপি নেতা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ জেলার আরও শীর্ষ ৪ নেতার নামে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন।
সংবাদের বিষয়ে আরও বেশি তোলপাড় সৃষ্টি করার কারন হিসেবে জানাগেছে, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের আরেকজন নাজমুল হুদা। সেই নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত বিএনএফ এর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে এই আবু আল ইউসুফ ও রুবায়েত হোসেনের নাম প্রকাশিত হয়েছিল। এর আগে বিদিশা নারায়ণগঞ্জে আসলে সেখানেও আবুল কালাম অনুগামীদের বিদিশার সঙ্গে দেখা যায়। ফলে দলের ষড়যন্ত্রকারী সংস্কারবাদী আবুল কালাম কি আবারো এমপি হওয়ার স্বপ্ন দিয়ে বিএনপির রাজনীতি ছাড়তে যাচ্ছেন কিনা সেটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারন আবুল কালাম সব সময় নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনীতি করেন। তিনি রাজপথের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। চরম সুবিধাবাদী এই আবুল কালামকে বিএনপি নেতাকর্মীরা যে কারনে টেবিল রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এমনটাই দাবি করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
তবে এদিকে বিদিশা ফাউন্ডেশনে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অ্যাডভোকেট রুবায়েত হোসেন সায়েম। তিনি সান নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমি বিদিশা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব পদে রয়েছি। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিদিশা এরশাদ। এটা কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। বিদিশা এরশাদ এখনও রাজনীতিতে আসেননি।
বিদিশা ফাউন্ডেশনে নারায়ণগঞ্জের আর কেউ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টিতে রাজনীতি করেন এমন অনেক ব্যক্তিরাই বিদিশা ফাউন্ডেশনে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জে বিদিশা ফাউন্ডেশনের কোন কমিটি রয়েছে কিনা এবং বিএনপির আরও কেউ আছে কিনা জানতে চাইলে সায়েম বলেন, নারায়ণগঞ্জে এখনও কমিটি গঠন করা হয়নি। অচিরেই কমিটি গঠন করা হবে এবং নারায়ণগঞ্জের কমিটিতেও বিএনপি জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেন এমন অনেকেই থাকবেন।’ তবে কে কে রয়েছেন বিদিশা ফাউন্ডেশনে তাদের নাম তিনি বলেননি।