‘মাদক ব্যবসায়ী’ দুলাল প্রধান দায় চাপালেন পুলিশের উপর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফউদ্দীন মাহামুদ দুলাল প্রধানের নানা ধরণের কটুক্তিমুলক বক্তব্য এবং ২৩নং ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেনকে পা রাখতে দেয়া হবে বলে হুমকির বিষয়ে পরদিন মহানগগর আওয়ামীলীগ প্রতিবাদ করেছে। ওই প্রতিবাদ সভায় মহানগর আওয়ামীলীগ দাবি করেছে- দুলাল প্রধান একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে পুলিশ মাদক সহ গ্রেপ্তার করেছিল। এমনটা দাবির পর দিন দুলাল প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন তিনি। তিনি দাবি করেন- পুলিশ তার কাছে মোটা অংকের চাদা দাবি করেছিল। চাদা না দেয়ার কারনে তাকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্দরের প্রতিটি অলিগলিতে মাদকের স্পট তৈরি করেছেন দুলাল প্রধান। তার নিয়ন্ত্রনে বন্দরের মাদক ব্যবসা। যা একই দাবি করেছে মহানগর আওয়ামীলীগ।

নারায়ণগঞ্জ থেকে সদস্য বিদায়ী এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ বাহিনীর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৫ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান। ২০ নভেম্বর বুধবার বন্দরে তার নিজ কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে দুলাল এই দাবি করেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, ১ আগস্ট রাতে নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রির টাকা নিয়ে কাউন্সিলর দুলাল সহ তার আরো ৪ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর দুলাল বলেন, ওই ঘটনাটি সাজানো মামলা ছিলো। পুলিশের জনৈক লোক আমার কাছে বিশাল অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল। তিনি আমার কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করেছিল। যারা আমাকে মাদক নিয়ে ধরেছিল তারা আমাকে বলেছে উপরের নির্দেশে আমাকে ধরা হয়েছে। সেটি মিথ্যা মামলা আমার উকিলের মাধ্যমে আমি এটির বিরুদ্ধে প্রত্যাহারের আবেদন করবো। তদন্ত হলে আমি অবশ্যই নির্দোষ প্রমাণিত হবো। একথাগুলো প্রকাশ করার সুযোগ আমাকে আগে দেয়া হয় নাই।

সম্প্রতি ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য পদ না পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য করে মহানগর আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়েন কাউন্সিলর দুলাল। পরে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামীলীগ এক সভা করে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দুলাল প্রধানকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয়। ওই সভায় বক্তারা দাবি করেন-দুলাল প্রধান একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

এরপর সংবাদ সম্মেলন করে কাউন্সিলর দুলাল বলেন, আনোয়ার হোসেন আমার গুরু শামীম ওসমানেরও গুরু। তিনি অত্যন্ত সম্মানিত লোক। আমি তার সম্পর্কে এমন কথা বলতে পারিনা। আনোয়ার হোসেন একজন প্রবীণ নেতা।

দুলাল আরও দাবি করেন- এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম অনেক অনুপ্রবেশকারীকে দেয়া হয়েছে কিন্তু আমাকে দেয়া হয় নাই। অথচ আমি ১৯৯৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগ করি। এজন্য দায়ী আমার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতারা। আমি জোরালো ভূমিকা রাখায় আওয়ামী লীগে এগিয়ে গিয়েছি। এই ওয়ার্ডের অন্যান্য নেতারা পিছিয়ে পড়েছে। তাই তারা ঈর্ষান্বিত।