অবৈধ সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করিনা: মাসুদ মিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে এ দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবেনা বলে মন্তব্য করেছেন আড়াইহাজার পৌর সাধারণ সম্পাদক ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া। তিনি বলেছেন, আমরা এই ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করিনা। কারন তারা মুক্তি দিবে না। তাই দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবো।

২৪ নভেম্বর রবিবার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া।

বিএনপির এই নেতা আরোও বলেন, সরকার সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন যদি খালেদা জিয়া কারাগারে মারা যান। সরকারের নীল-নকশার কারণেই আজ খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। তারা পুলিশ সহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় এখনও টিকে আছে। এই অবৈধ সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করতে নেতাকর্মীদের নামে শতশত মামলা, হামলা ও পুলিশ দিয়ে যেভাবে নির্যাতন করেছে তাতে বিএনপি টিকে থাকার কথা নয়। কিন্তু বিএনপিকে মানুষ ভালোবাসে বলেই সরকারের সব হামলা-মামলা ও নির্যাতন সহ্য করে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এখনও বিএনপির ডাকে সাড়া দিচ্ছে। আমরা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাহল্লাহ।

তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বিষয়ে বলেন, তারেক জিয়া আধুনিক রাজনীতির একজন রূপকার। তৃণমূল প্রতিনিধি সভার মাধ্যমে যেভাবে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তাতে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ভীত কেঁপে উঠেছিল। এ কারণে বর্তমান লুটেরা সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা দেশনায়ক তারেক জিয়া সহ জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে পুরো দেশ যেন আজ একটি কারাগার, যেখানে জানমালের নিরাপত্তা নেই তারপরও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে তারেক রহমানের প্রয়োজন, তাইতো দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশা কোনো ষড়যন্ত্রই দেশে আসা থেকে ফিরাতে পারবে না তারেক জিয়াকে। বীরের বেশে আসবে ফিরে তারেক জিয়া বাংলাদেশে।

তিনি আরোও বলেন, বিএনপির রাজনীতি আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। আর এই রাজনীতি করতে গিয়ে আমাকে অনেক হামলা, মামলা শিকার হতে হয়েছে। আড়াইহাজার বিএনপির কান্ডারি মাহমুদুর রহমান সুমনের সৈনিক বলেই আমাকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা অবশ্যই আড়াইহাজার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার লক্ষে ত্যাগী নেতাদের প্রোফাইল দেখবেন এবং ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করবেন।