সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
হটাত নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। এবার এক সংবাদকর্মীকে অহেতুক মারধর করেছে দুই পুুলিশ সদস্য। একই দিনে সদর মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এক সংবাদকর্মীকে হুমকি ধমকি দেয়ারও অভিযোগ ওঠেছে। এ ছাড়াও গত শনিবার চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় বিএনপির কর্মসূচি চলার সময় ছবি তুলতে গেলেও এসআই নুরুজ্জামান স্থানীয় সংবাদকর্মীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। দিনকে দিন বেপয়োরা হয়ে ওঠেছে সদর মডেল থানার পুলিশ। বিশেষ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের একটি অনলাইন পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিককে অহেতুক মারধর সহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণঞ্জ সদর মডেল থানার দুইজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এসময় নিজেকে ছাত্র পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত আছে পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ডও প্রদর্শন করে। পরবর্তিতে ওই সাংবাদিককে- সাংবাদিকের গোষ্ঠি.. .. ..দিমু বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ হুমকি দেয় ওই দুই পুলিশ কনষ্টেবল আব্দুল মালেক এবং মাসুদ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার চারারগোপ এলাকার ফলের আড়ৎের পিছনে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটায় পুলিশ সদস্যরা। তবে ঘটনার সময় ওই দুই পুলিশ সদস্যদের গাঁয়ে ইউনিফর্ম এবং ফাইবারের অত্যাধুনিক রুলার থাকলেও বুক পকেটে ছিলোনা তাদের নেমপ্লেট।
জানা গেছে, ২৭ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নারায়ণগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার রাব্বি সরকারকে কোন প্রকার কারণ ছাড়াই বেধরক মারধর করে দুই পুলিশ সদস্য। এসময় পরিচয় দিলে আরো মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে রাব্বি কয়েকজন সংবাদকর্মীকে ফোন করে জানায়। তারা কালিরবাজারে গিয়ে দেখে পুলিশের পোশাক থাকলেও নাম ব্যাচ খুলে রেখেছেন।
ওই সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পকেট থেকে ব্যাচ বের করে পড়ে। তাছাড়াও তাদের ডিউটি কালিরবাজারস্থ স্বর্ণপট্টিতে হলেও কেনইবা তারা ওইখানে অবস্থান করছিলেন উত্তর দিতে পারেননি। পরে কনষ্টেবল আবদুল মালেক ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। তখন সাংবাদিকরা চলে আসার সময় কনষ্টেবল আবদুল মালেক রাব্বির কানের কাছে এসে বলেন, সাংবাদিক নিয়া আইসদ, তোর সাংবাদিকের গোষ্টি.. .. দিমু।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ বার্তা টুয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার রাব্বি বলেন, আমি কালিবাজারে ডাব আনতে গিয়েছিলাম। তখন ডাবের দোকানের পিছনে মুত্র ত্যাগ করতে বসি। পরে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলে তর সাথে কি আছে? আমি বললাম কেন, কিছুই নাই। তখন আমাকে ওনার হাতে থাকা ফাইবারের রুলার দিয়ে পিটাতে থাকে। পরে আমি বললাম আমি একজন স্টুডেন্ট এবং পাশাপাশি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করি। তখন আমাকে চারারগোপ থেকে আরো পিছনে ৫নং ঘাটের দিকে অন্ধকারে নিয়ে আরো মারধর করে চলে যায়। পরে আমার সম্পাদক সহ কয়েকজন সাংবাদিকদের ফোন করলে কালিবাজারে গিয়ে কনষ্টেবল আ. মালেককে প্রশ্ন করলে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। তখন উনারা (সাংবাদিকরা) চলে আসার সময় কনষ্টেবল আ. মালেক আমার কানের কাছে এসে বলেন, সাংবাদিক নিয়া আইসদ না! তোর সাংবাদিকের গোষ্টি.. .. দিমু।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ফাড়ি ইনচার্জ মিজানুর রহমান মিজান অভিযুক্ত দুই কনষ্টেবলকে ডেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অভিযোগ স্বীকার করেন। পরে, মিজানুর রহমান মিজান নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ডট কম এর সম্পাদক সহ থানায় উপস্থিত অর্ধশতাধিক সাংবাদিকদের নিকট অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে, এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামানকে অবগত করলে রাত পৌণে ১১টার সময় তিনি থানায় এসে অভিযুক্ত ওই দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ওইসময় থানার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।