সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
অরুণজেটলি দিয়ে শুভ সুচনা করেও গোলাপি কলকাতা থেকে বিবর্ণ হয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। এবছর টাইগারদের আর কোনো আন্তর্জাতিক খেলা নেই। বছরের বাকি সময়টুকু বঙ্গবন্ধু বিপিএল নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন ক্রিকেটাররা। তবে আগামী বছরটাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ ব্যস্ত থাকবেন মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকরা।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগাম (এফটিপি) অনুযায়ী, বছরের শুরতেই দুইটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্য পাকিস্তান যেতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু বিপত্তি দেখা গিয়েছে ভেন্যু নিয়ে। বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ ও অনেক খেলোয়াড়রাই পাকিস্তানে খেলতে যেতে চাইছেন না। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের প্রকোপ হওয়ায় বড় দলগুলোর সেখানে সপর করার অনীহা এখনো কাটেনি।
বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সফরের বিষয়ে কৌশলী হতে চায় বাংলাদেশ। দেশটিতে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজটি খেলতে চায় বাংলাদেশ। তবে টেস্ট সিরিজটি দুবাইতে খেলার ব্যাপারে পিসিবিকে অনুরোধ করবে বিসিবি।
তবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা তাদের বলেছেন; ‘আমরা একটি সিদ্ধান্তে এসেছি যে, সূচি অনুযায়ী যে সিরিজগুলো আমাদের দেশের মাটিতে খেলার কথা সেগুলো আমরা আর বিদেশের মাটিতে খেলবো না।’
পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজ না খেলার পেছনে বিসিবির যুক্তির জায়গাটা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে আরেক জায়গায়ও। সম্প্রতি নারী দল এবং অনূর্ধ্ব-১৬ দল দেশটিতে খেলে এসেছে। তাদের নির্বিঘ্ন সফরকেও যুক্তি হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে পাকিস্তান।
পিসিবির ওই কর্মকর্তা জিও নিউজকে বলেন, ‘পিসিবি মনে করছে, বাংলাদেশের দুটি দল যেহেতু এরিমধ্যে পাকিস্তান সফর করে গেছে তাই তাদের জাতীয় দল না পাঠানোর কোনো ইস্যু নেই।’
সফরের শুরুতেই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা। এরপর তিনটি টি-২০ খেলার কথা দুদলের। পিসিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সম্ভব নয়, যে আপনি সিরিজের অর্ধেকটা এক জায়গায় খেলবেন আর বাকি অর্ধেকটা আরেক জায়গায় খেলবেন। এভাবে আর চিন্তা করার সুযোগ নেই। তেমনটা হলে আগামী দিনগুলোতে পিএসএল এবং অন্যান্য খেলাগুলোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
এর আগে ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রায় দশ বছর পাকিস্তান সফর থেকে দূরে থাকে ক্রিকেট দলগুলো। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান সফরে যায়। গত মাসেই সেখানে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলেছে লঙ্কানরা। ডিসেম্বরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের। তাইতো পাকিস্তান তাদের জায়গা শক্তপোক্ত অবস্থানে থাকবে।