সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত এক যুগেও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কোন বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নিয়ে আইনজীবীদের মাঝে এত উদ্বেগ উৎকন্ঠা গুঞ্জন ও নানা আলোচনা দেখা যায়নি। এবারের এজিএম নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আইনজীবীদের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে ভিন্ন কিছু কারনে। এ আলোচনা আদালতপাড়া ছাড়িয়ে সিনিয়র আইনজীবীদের চেম্বারের টেবিল গরম হচ্ছে এজিএম নিয়ে।
কি ঘটতে যাচ্ছে সমিতির এবারের সাধারণ সভায় তা আগাম ধারণা থেকে জানার আগ্রহ আইনজীবীদের মাঝে প্রবল। যদিও ইতিমধ্যে সকল এজেন্ডা নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে টানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবুও এসব এজেন্ডার বাহিরেও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে কিনা তা নিয়েই মুলত এবারের বার্ষিক সাধারণ সভাটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত। সেই সঙ্গে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সহ বিভিন্ন দল মতের সিনিয়র আইনজীবীদের মাঝে কার কি ভুমিকা থাকবে এবারের সভায় তা নিয়েও জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে আইনজীবীদের মাঝে।
মুলত আইনজীবীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে আলোচনার বিষয় সমিতির ১২’শ আইনজীবীর ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণ। যার প্রথম তলার কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুরু হয়েছে দ্বিতীয় তলার কাজ। সমিতির বর্তমান পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার নেতৃত্বে আধুনিক এই ভবনটি আলোর মুখ দেখেছে। যে কারনে আইনজীবীদের বাহবাহ পাচ্ছেন তারা দুুজন। ভবনের প্রথম তলার কাজটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যা পরবর্তীতে উপরে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা সহজ। এ ছাড়াও টানা দুইবার তারা নেতৃত্বে থেকে কিছু কাজ করেছেন যা বেশ উল্লেখ্যযোগ্য।
এদিকে আইনজীবী সমিতির নোটিশ থেকে জানাগেল আগামী ৯ জানুয়ারি সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯-২০ কার্যবর্ষের সাধারণ সভায় কার্যবিবরণী পেশ ও অনুমোদন, বাৎসরিক রিপোর্ট পেশ, অডিট রিপোর্ট পেশ ও অনুমোদন, ২০২০-২০২১ বছরের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনের দিন ধার্য্য, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও চারজন সহকারী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচনী আপিল বোর্ড গঠন ইত্যাদি রাখা হয়েছে সাধারণ সভার আলোচ্য বিষয়।
তবে এর বাহিরেও আইনজীবীদের যেকোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। সমিতির গঠনতন্ত্রের একটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, গঠনতন্ত্রের যেকোন অনুচ্ছেদ বা নিয়ম পরিবর্তন পরিবর্ধন সংযোজন বিয়োজন বার্ষিক সাধারণ সভায় দুই তৃতীয়াংশ আইনজীবী তাদের কণ্ঠভোটের মাধ্যমে বিল পাশ করতে পারবেন। গঠনতন্ত্রে বার্ষিক সাধারণ সভাকে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম হিসেবে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ফলে এজেন্ডার বাহিরেও আলোচনা হতে পারে। আর মুুলত এসব কারনেই এবারের সাধারণ সভাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে আইনজীবীদের কাছে। ভিন্নমাত্রায় এবারের বার্ষিক সাধারণ সভাটি। যেখানে দৃষ্টি রয়েছে সকল আইনজীবীদের।
সেই সঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী ও সমিতির বর্তমান সাবেক নেতাদের কার কি ভুমিকা থাকতে পারে তা আগাম জানার আগ্রহ সাধারণ আইনজীবীদের মাঝে প্রবল হয়ে ওঠেছে। আবার যারা নির্বাচনে আগ্রহী তাদের মাঝে অনেকেই নির্বাচনের দিকে ঘা ভাসালেও অনেকেই আবার সাধারণ সভার দিকে তাকিয়ে আছেন। কেউ কেউ সালাম আদাব দেয়া শুরু করলেও অনেকেই সভার পরেই নির্বাচনে নেমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় কি ঘটতে যাচ্ছে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায়। ভিন্ন কিছু হয়ে থাকলে তা এখনই কেউ বলতে পারছেন না।