সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১) এর একটি টিম। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকাও উদ্ধার করা হয়। ৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার জসিম উদ্দীন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৪ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর পৃথক অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এবং নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজি থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে ৩ জনকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মামুন, মোঃ দেলোয়ার ও সায়মন। এ সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির সর্বমোট নগদ ১৪ হাজার ৫’শ ৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস, সিএনজি ও অটোরিক্সা থামিয়ে গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গাড়ী প্রতি ১’শ থেকে দেড়শো টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত যাত্রীবাহী সিএনজি থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে উক্ত চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য মামুন ও মোঃ দেলোয়ারকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ১২ হাজার ১’শ ৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
চাঁদাবাজির পৃথক আরেকটি অভিযানে বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য সায়মনকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় তার দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ২ হাজার ৩’শ ৮০ টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক থামিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতি ট্রাক হতে ১’শ টাকা থেকে ২’শ টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে।
এখানে উল্লেখ্য হাজী গোলাম হোসেন নামক এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে নবীগঞ্জ কামাল উদ্দীনের মোড় টেম্পু স্ট্যান্ড ইজারা নিয়ে ইজারার শর্ত লংঘন করে সড়কে চলাচলরত পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। আসামীরা এরূপ অপতৎপরতা পূর্বে হতে করে আসছে মর্মে স্বীকার করে। তাদের অত্যাচারে পরিবহন চালকরা অতিষ্ঠ।
র্যাব আরও জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি রোধকল্পে গত বছরের জুন থেকে এই পর্যন্ত র্যাব-১১ এর ধারাবাহিক অভিযানে মোট ৩৫টি মামলা দায়ের করা হয় এবং মোট ৯৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।