সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-১১) এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে প্যাকেটজাত ভারতীয় মহিষের মাংস জব্দ করা হয়েছে। ৬৫০ কেজি অননুমোদিত এই মাংস বাজারজাতকরণের দায়ে একজনকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে র্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ জসিম উদ্দীন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র্যাব-১১ এর অভিযানে অননুমোদিত প্যাকেটজাত ভারতীয় মহিষের মাংস বিক্রির দায়ে বিহারী ক্যাম্প থেকে ১ জনকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করার সময় একটি কাভার্ড ভ্যানে রক্ষিত ১০ কেজির ২০টি, ১৮ কেজির ২২টি এবং ২০ কেজির ৩টি ধরণের প্যাকেটে আনুমানিক ৬৫০ কেজি মহিষের মাংস ও কাভার্ড ভ্যানটিও জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, সপ্তাহে ৩দিন ঢাকার তেজগাঁও হতে অননুমোদিতভাবে প্যাকেটজাত মাংসগুলো নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট ও স্থানীয় কশাইয়ের কাছে বিক্রি করে যা তারা হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট ও সাধারণ লোকজনের কাছে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে। হিমায়িত ও প্যাকেটজাত মাংসগুলো বিক্রির জন্য আইনানুযায়ী প্রাণিসম্পদ কর্তৃক কোয়ারান্টাইন সার্টিফিকেট থাকার প্রয়োজন তা তাদের নেই। আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারেক ট্রেডার্স ও ইগলু এবং প্যাকেটের গায়ে তারেক ট্রেডার্স ও ইগলু লেখা থাকলেও উক্ত কোম্পানীর অনূকুলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কোয়ারান্টাইন সার্টিফিকেট তারা দেখাতে পারেনি। হিমায়িত মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের আইনানুযায়ী প্যাকেটজাত করা হতে ভোক্তার কাছে পৌঁছা পর্যন্ত যে ফ্রিজিং চেইন রাখার বিধান থাকলেও তা অমান্য করে তারা নন-ফ্রিজিং গাড়িতে নিয়ে আসে যার ফলে মাংসের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায় এবং এই মাংস জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ব্যাপক ক্ষতিকর বলে প্রতীয়মান হয়।
এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে অপরাধ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে অভিযুক্ত মোঃ সামিরকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এবং তিনি জব্দকৃত মহিষের মাংস ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।