বন্দর ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান এহসান: আমি দুর্নীতির সাথে আপোষ করার মত মানুষ না 

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান এহসান উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বন্দর ইউনিয়নবাসিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। হাজারো প্রমাণ হাতে থাকার পরেও আজকে পর্যন্ত সত্য প্রতিষ্ঠায় মনে হয় ব্যর্থ হয়ে গেলাম।

তিনি বলেন, আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার মত মানুষ না, আমি অন্যায়ের সাথে আপোষ করার মানুষ না, আমি দুর্নীতির সাথে আপোষ করার মত মানুষ না, আমি মিথ্যা কথা বলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মানুষ না, আমি কারো হক নষ্ট করে অর্থ উপার্জন করার মত মানুষ না, আমি জীবনে কাউকে এক টাকা ঠকিয়েছি এমন কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ।

‘আস্থা আর বিশ্বাস ছাড়া পৃথিবীতে কোন প্রতিষ্ঠানই চলতে পারে না। পিতার উপর পুত্রের আর পুত্রের উপর পিতার এবং স্বামীর উপর স্ত্রীর আর স্ত্রীর উপর তার স্বামীর যদি আস্থা-বিশ্বাস না থাকতো তাহলে পৃথিবীতে থেকে সংসার নামক শব্দটি এতদিনে মুছে যেত। একজন কাজের ছেলের হাতে আমার বাচ্চাকে রেখে যাওয়ার পর সে যদি আমার সেই বাচ্চাকে গলা টিপে হত্যা করে তার দায় আমি বাবা নিতে পারিনা।’

‘৩৩ লক্ষ টাকা আমার পারিবারিক ঐতিহ্য আর সম্মানের প্রেক্ষাপটে খুবই সামান্য, আমার কথা না হয় বাদই দিলাম। বাবার কাছ থেকে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সামান্য জমি বিক্রি করে দিলেই ব্যবস্থা হয়ে যেত। এতে করে প্রকৃত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, প্রতারক, বিশ্বাসঘাতক সচিব পার পেয়ে যেত।’

‘পিবিআই এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে এই বিষয়ের উপর তদন্ত চলছে। আমি আমার ইউনিয়নবাসিকে অল্প কিছুদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং দোয়া প্রার্থনা করছি যাতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাকে সকল প্রকার অন্যায়, দুর্নীতি, বিশ্বাসঘাতকতা আর প্রতারণার বিরুদ্ধে সত্য ও অন্যায় প্রতিষ্ঠায় সহায় হোন।’

জানাগেছে, জন্মনিবন্ধন সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স খাতের ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সচিবের পর বরখাস্ত হোন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ।

এ প্রসঙ্গে ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ইউসুফকে।

এ ব্যাপারে এহসানউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতের চারটি রিপোর্ট তদন্তাধীন রয়েছে। এ ছাড়া পিবিআই অভিযোগের তদন্ত করছে। এগুলো নিষ্পত্তি না পর্যন্ত বরখাস্ত করা দুঃখজনক। টাকা আত্মসাতের সঙ্গে ইউপি সচিব জড়িত থাকলে চেয়ারম্যান হিসেবে আমিও দায় এড়াতে পারি না।’