সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
একেএম অয়ন ওসমানের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের ব্যানারে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেল গেট হতে দেওভোগ পর্যন্ত সড়ক পরিস্কার এবং রাস্তায় পথচারী ও দোকানীদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন করে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এই সময় সাদা টি-শার্ট ও মুখে মাক্স পড়া কয়েকশত সেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ সড়ক পরিস্কার করেন। অয়ন ওসমানের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচি পরিচালনায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শুভ রায়।
কর্মসূচি উদ্বোধন পূর্বক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শুভ রায় বলেন, এই কাজটি মূলত আমাদের নয়, কিন্তু আবার আমাদের সকলের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে। আমার একটি স্বপ্ন ছিল, আমি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি শহরের বাসিন্দা হতে চাই। কিন্তু আমার একার পক্ষে হয়তো তা সম্ভব নয়, আর সম্ভব তখনই হবে যখন আমার শব্দটি আমাদের হবে। এই পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজটি মূলত সিটি করপোরেশন করে থাকেন, তবে আমাদেরও এই শহরের নাগরিক হিসেবে তাদের সহযোগীতা করাই মূল উদ্দেশ্য।
তিনি জানান, সেই সুবাদে নারায়ণগঞ্জ ৪-আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সুযোগ্য সন্তান অয়ন ওসমানের উদ্যোগে সুন্দর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নারায়ণগঞ্জ শহর গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।
তিনি আরও জানান, এছাড়াও অয়ন ওসমান জাতি ধর্ম বর্ন দলমত নির্বিশেষে সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সর্বদা সহায়তা করে থাকেন। যখন আমাদের শহর সহ সারা দেশে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব মরণ ফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছিল, সে সময়েও অয়ন ওসমান নিজ উদ্যোগে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ওয়ার্ড ইউনিয়নে কীটনাশক ঔষধ ছিটিয়েছিলেন যা কিনা এখনো সাধারণ নাগরিকের কাছে প্রশংসিত হয়ে রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ এমপি শামীম ওসমানের আদর্শে গড়া একটি সংগঠন। আমাদের নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ সারা বাংলাদেশে প্রশংসিত ও ন্যায়ের পক্ষের একটি সংগঠন। সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমাজের সকল উন্নয়নের স্বার্থে অয়ন ওসমানের নেতৃত্বে আমাদের ছাত্রলীগ সর্বদা ছিল, এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে ইনশাল্লাহ।
এছাড়া বক্তব্যে শুভ রায় সিটি করপোরেশন মেয়রের দৃষ্টি আর্কষণ করে বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জের মেয়র নগরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সর্বদা গুরুত্ব দিয়েছেন, যদিও এইদিক দিয়ে শহর থেকে বন্দর একটু বেশিই গুরুত্ব পেয়েছে। তারপরেও আজকের এই কর্মসূচি থেকে উনার দৃষ্টি আর্কষণ করে বলতে চাই, রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন শহরের মূল সড়ক দিয়ে একটু পর পর ডাস্টবিন অথবা মাঝাড়ি ধরণের শুকনা ময়লা ফেলার বক্স রাখা হয়, যাতে করে চলাচলের পথে ছোট খাটো ময়লা, বোতল, চকলেটের কাগজ, কলার খোসা, খাবারের প্যাকেট, সিগারেটের অবশিষ্ট ফিল্টার সহ ইত্যাদি ফেলা যায়। কিন্তু আমাদের নারায়ণগঞ্জ রাজধানীর নিকটতম একটি নগরী হবার পরেও রাস্তার মোড়ে ময়লার স্তুপ করে ফেলে রাখা হয়, তেমন ডাস্টবিন অথবা নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার স্থান তুলনামূলকভাবে নেই বললেই চলে। তাই যদি শহরের মূল সড়কগুলোতে নির্দিষ্ট দূরুত্ব বজায় রেখে ময়লা ফেলার ছোট ছোট বক্স রাখার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে অনেকটা পরিস্কার পরিচ্ছন্নের আধুনিকতা ফিরে পাবে আমাদের এই শহর।
সর্বশেষে “আমাদের শহর, আমারাই পরিস্কার রাখবো- দেহ মন দুটো নিয়েই সুস্থ থাকবো” এই স্লোগানে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে পরিস্কারের কাজ শুরু করানো হয় ২নং রেল গেট চত্ত্বর থেকে, যা শেষ হয় দেওভোগ আখাড়ার মোড়ে গিয়ে আলী আহম্মদ চুনকা সড়ক হয়ে সিটি মেয়রের পৈত্রিক বাড়ির শেষ প্রান্তে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগ নেতা সুমিত হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবির, ছাত্রলীগ নেতা আকাশ, নাঈম, রিফাত, শামীম হোসেন, সৃজন দাস, তনয় আহসান, লোকনাথ, সৈকত, রিফাত, আনন্দ সহ সেচ্ছাসেবক কর্মীরা।
এদিকে, ব্যতিক্রমী কর্মসূচিটি চলাকালীন দেওভোগ সহ আশে পাশের এলাকার সচতেন নাগরিকদের নিকট অনেকটা প্রশংসিত নজর কেড়েছে এবং অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে উৎসাহ দিয়েছেন।