সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান। আবারো রাজপথে যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে প্রমান করেছেন সাগর প্রধান রাজপথ ছাড়েনি।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মী সভা সম্পর্কে সাগর প্রধান অবগত ছিলেন না বলেও দাবি করেছেন। কর্মী সভায় বেশির ভাগ বক্তা সাগর প্রধানের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। কেউ কেউ তার বহিস্কার দাবি করেছেন। যুবদলের বিরোধীয় পক্ষীয় সকল নেতারা উপস্থিত থাকলেও একমাত্র সাগর প্রধানকে নিয়ে যুবদল নেতাদের বিরোধীয় বক্তব্যের বিষয়টি সাগর প্রধানের আরো গুরুত্ব বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ পালন করতে গিয়ে নিজে চেম্বারে টানা দুই ঘন্টা অবরদ্ধ হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এরি মধ্যে সাখাওয়াতের চেম্বারের নিচে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে সেখানে দফায় দফায় নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ। এতে শতশত যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের কালিরবাজার এলাকা থেকে প্রধান সড়কে প্রবেশের সময় পুলিশের ধাওয়ার শিকার হন সাগর প্রধানের নেতাকর্মীরা।
এর আগে সাখাওয়াতের চেম্বারের সামনে ও তার চেম্বারের ভেতরে প্রবেশ করে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। প্রায় দুই ঘন্টা পর চেম্বার থেকে চলে যাওয়ার শর্ত দিয়ে সাখাওয়াতকে পুলিশ বের হতে দেন। চেম্বার থেকে বের হয়ে সমাবেশের চেষ্টা করলেও সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সাখাওয়াতকে জোর করে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টা থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এর আগে থেকেই শতাধিক পুলিশ সেখানে মোতায়েন ছিল। মিছিল নিয়ে আসলে নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুুলিশ। ওই ক্লাব মার্কেটের তৃতীয় তলায় সাখাওয়াত হোসেন খানের চেম্বার।
দুপুর থেকেই সাখাওয়াত হোসেন খান মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে তার চেম্বারে অবস্থান করেন। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুুলিশ গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এমনকি পুুলিশ তার চেম্বারের ভেতরে প্রবেশ করে কোন ধরণের সভা সমাবেশ মিছিল করতে নিষেধ করে পুলিশ। চেম্বারের গেটের সামনে পুলিশ দাড়িয়ে থাকেন দুই ঘন্টা।
বিকেল ৫টার দিকে সাখাওয়াত হোসেন খান বাসায় যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে বের হয়ে কার্যালয়ের নিচে নেমে মিছিল করার চেষ্টা করলেও সেখানে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। শেষতক একজোট হয়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করতে পারেনি মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তবে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের মার্কেটের সামনে আসতে চাইলেই পুলিশি বাধায় পড়ে সটকে পড়েন নেতাকর্মীরা।
পরে ক্লাব মার্কেটের সামনে সমাবেশ করার চেষ্টা করলেও সেখান থেকে সাখাওয়াতকে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ। ফলে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল আর করতে পারেননি সাখাওয়াত হোসেন খান।