সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে দফায় দফায় পুলিশি বাধায় পড়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক আপ্যায়ণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান।
২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে শহরের গলাচিপা থেকে জেলা মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল বের করেছেন তিনি। মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে কর্মসূচি পালনের জন্য আসার সময় পুলিশি বাধায় পড়েন নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আবারো ঘুরে এসে বিচ্ছিন্নভাবে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে সাখাওয়াতের সঙ্গে এসে জড়ো হয়। সেখানে মিছিলের চেষ্টা করেন আনোয়ার প্রধান। এতে পুুলিশি বাধায় পড়েন তিনি। বেশকবার তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন।
অন্যদিকে ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ পালন করতে গিয়ে নিজে চেম্বারে টানা দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এরি মধ্যে সাখাওয়াতের চেম্বারের নিচে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে সেখানে দফায় দফায় নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সাখাওয়াতের চেম্বারের সামনে ও তার চেম্বারের ভেতরে প্রবেশ করে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। প্রায় দুই ঘন্টা পর চেম্বার থেকে চলে যাওয়ার শর্ত দিয়ে সাখাওয়াতকে পুলিশ বের হতে দেন। চেম্বার থেকে বের হয়ে সমাবেশের চেষ্টা করলেও সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সাখাওয়াতকে জোর করে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টা থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এর আগে থেকেই শতাধিক পুলিশ সেখানে মোতায়েন ছিল। মিছিল নিয়ে আসলে নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুুলিশ। ওই ক্লাব মার্কেটের তৃতীয় তলায় সাখাওয়াত হোসেন খানের চেম্বার।
দুপুর থেকেই সাখাওয়াত হোসেন খান মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে তার চেম্বারে অবস্থান করেন। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুুলিশ গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এমনকি পুুলিশ তার চেম্বারের ভেতরে প্রবেশ করে কোন ধরণের সভা সমাবেশ মিছিল করতে নিষেধ করে পুলিশ। চেম্বারের গেটের সামনে পুলিশ দাড়িয়ে থাকেন দুই ঘন্টা।
বিকেল ৫টার দিকে সাখাওয়াত হোসেন খান বাসায় যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে বের হয়ে কার্যালয়ের নিচে নেমে মিছিল করার চেষ্টা করলেও সেখানে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। শেষতক একজোট হয়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করতে পারেনি মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তবে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের মার্কেটের সামনে আসতে চাইলেই পুলিশি বাধায় পড়ে সটকে পড়েন নেতাকর্মীরা।
পরে ক্লাব মার্কেটের সামনে সমাবেশ করার চেষ্টা করলেও সেখান থেকে সাখাওয়াতকে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ। ফলে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল আর করতে পারেননি সাখাওয়াত হোসেন খান।