সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে সংস্কারবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন বিকল্প ধারা নামক দল থেকে ঘুরে আসা এটিএম কামাল। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে সংস্কারবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ধুয়া তুলেছিলেন এবং সেদিন সংস্কারবাদীদের কুশপুত্তলিকাদাহ করেছিলেন। সেদিনের অনুষ্ঠানে এটিএম কামালও ছিলেন উপস্থিত। সেই এটিএম কামাল গত তিন বছর ধরে সংস্কারবাদী নেতা সাবেক এমপি আবুল কালামের সঙ্গে রাজনীতি করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি আবুল কালামের সঙ্গে দুরত্ব বেড়েছে তার। কারন এটিএম কামাল চাচ্ছেন সভাপতি পদে ভাগিয়ে আনতে। যেখানে সভাপতি পদে বর্তমানে রয়েছেন আবুল কালাম। ফলে আবুল কালামের পদ নিয়ে টানাটানিতে নেমেছেন এটিএম কামাল।
এদিকে ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় মহানগর বিএনপির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল। মিছিলে বাধা দিয়েছে পুুলিশ। যেখানে সভাপতি আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন না।
তবে এটিএম কামালের সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মিয়া, যুগ্ম-সম্পাদক আওলাদ হোসেন, যুব বিষয়ক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন শোখন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু প্রমুখ।
তবে এই কর্মসূচি পালনের দুই ঘন্টা পর এটিএম কামাল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লিখেন, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে…। যদিও কর্মসূচি পালনের দুই ঘন্টা পর এটিএম কামালের এমন একটি চরণ ফেসবুকে পোস্ট করায় নেতাকর্মীদের মাঝে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কেউ কউ জানিয়েছেন- এটিএম কামাল সভাপতি পদে মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আসছেন এমন খবরে বিব্রত আবুল কালাম। সেই সঙ্গে সম্প্রতি আবুল কালাম বিরোধী হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার এটিএম কামালের বাসায় যান তাকে দেখতে। এসব বিষয় নিয়ে আবুল কালামের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কারন এ মহানগরীতে তৈমূর আলমের প্রভাব ফিরে আসরেই কোনঠাসা হয়ে পড়েন আবুল কালাম।
এ ছাড়াও নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে এটিএম কামাল ও সেক্রেটারি পদে তৈমূর আলমের আপন ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নাম কেন্দ্রে তদবির গিয়েছে। আলোচনাতেও রয়েছেন তাদের দিয়েই হতে পারে মহানগর বিএনপির কমিটি। যদিও তাদের দিয়েই কমিটি হয় তাহলে মহানগরীর রাজনীতিতে আবারো কোণ ঠাষা হয়ে যাবেন আবুল কালাম। আবুল কালামকে বধ করার এমন মিশনটি তিনি বুঝতে পেরে এটিএম কামালের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বিএনপির মাঠ পর্যাযের নেতাকর্মীরা।