শ্রমিক কর্মচারী প্রত্যাহার, বন্দরে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স অবরুদ্ধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনগঞ্জে ৪৯জন কর্মচারীকে প্রত্যাহারের প্রতিবাদের বসুন্ধরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের মূল ফটক প্রায় ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা। ৯ মার্চ সোমবার সকাল ১১টায় মদনগঞ্জে অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানটি অবরুদ্ধ করা হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় বসুন্ধরা লিমিটেডের পক্ষ থেকে আমাদের স্থানীয়দের চাকুরির অগ্রাধিকারের কথা বললেও কর্তৃপক্ষ এব্যাপারটি বারবারই অবজ্ঞা করে আসছে। আমাদের স্থানীয়দের তারা বিভিন্ন সময় অযথাই চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আসছে। গত ২/৩দিন পূর্বেও তারা স্থানীয় ১০জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে।

তারা আরও বলেন, সম্প্রতি তারা আমাদের মোট ৪৯জন শ্রমিককে বিনাকারণে বরখাস্ত করে। কিন্তু তাদের এরকম পুতুল খেলা আমরা খেলতে দিব না। আমাদেরও পরিবার ও পেট আছে। আমাদের মারুক আর গুলি করুক আমরা সুনির্দিষ্ট কোন সমাধান ছাড়া এ অবরোধ তুলে নেব না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর বলেন, স্থানীয় চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তাদের আন্দোলনটা যৌক্তিক। আমি বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রতি সুবিচারের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি তারা আমাকে আশারবাণী শুনিয়েছেন। বর্তমানের তারা অফিসিয়াল কাজে বসুন্ধরার বাইরে আছেন। তারা বলেছেন বুধবার তারা ফিরেই শ্রমিকদের সাথে কথা বলবেন। সে পর্যন্ত আমি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিকে শ্রমিকদের এই আন্দোলন কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বরাবরই তৎপর ছিলো মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ। তাদের সমস্যা সমাধানে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বসুন্ধরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির লিমিটেড উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় ফোনালাপ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণের চেষ্টা করেন।

পরে বিকেল ৩টায় ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাগর ও বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের আশ্বাসে আগামী ১১ মার্চ বুধবার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোনকারীরা।