সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি মহল্লার প্রতিটি বাড়িতে আমরা আমাদের মশক নিধনকর্মীদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা বহুতল ভবনের ছাদ পরীক্ষা করে দেখছি। কারন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ওভার হেড পানির ট্যাংকি ভরে পানি উপচে ছাদে না পরা পর্যন্ত মটর বন্ধ করা হয় না। ফলে ছাদের জমা পানিতে ডেংগু ও এডিস মশা জন্মায়। আমরা ছাদে ঔষধ স্প্রে করছি ও বাড়ী মালিকদের ছাদ পরিস্কার রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।
আমরা গত কয়েকদিনে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি অনেক বাড়ীতেই মাটির হাড়ি,ভাংগা তৈজসপত্র বিনা কারনে সংরক্ষণ করছেন, সেখানেও বৃষ্টির পানি জমা হয়ে মশার বংশ বিস্তার করছে। অনেক নির্মাণাধীন বাড়ী, এমন কি কমপ্লিট বাড়ীতেও অপ্রয়োজনীয় চৌবাচ্চা রয়েছে। যা ডেংগুর প্রজনন ক্ষেত্র।
মনে রাখতে হবে কাউন্সিলার বা মেয়র তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন আপনার বাড়ীর বাড়ির আশেপাশে নিয়মিত মশা নিধন করলেও আপনার বাড়ীর ছাদ, আপনার সংরক্ষিত হাড়ি পাতিল বা চৌবাচ্চা আপনাকে পরিস্কার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ডাম্পিং করতে হবে। অব্যবহৃত চৌবাচ্চা বন্ধ করতে হবে। নতুবা আমরা বা আপনি যতই মশা নিধন করি না কেন কোন সুফল পাব না। কারণ নিজের বাড়ীতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরী করে মশা নিধন সম্ভব হবে না।
তাই প্রত্যেকের প্রতি অনুরোধ থাকবে নিজ নিজ বাড়ীঘর পরিছন্ন রাখুন। বাড়ীর কোথাও স্বচ্ছ পানি জমতে দিবেন না। অপ্রয়োজনীয় জঞ্জাল ডাম্পিং করুন। গৃহস্থালি বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলবেন না। কারণ মশা, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আবর্জনায় জন্মায়। তাই আপনার গৃহস্থালি বর্জ্য নাসিক কর্তৃক নিয়োগকৃত এইড বাংলাদেশের এনজিওর গাড়ীতে দিন। নিজে সচেতন হোন,অপরকে সচেতন করুন। মনে রাখবেন একজনের অসচেতনতা বা একটি ভুল পদক্ষেপ হাজারো মানুষের ভোগান্তির কারণ। নাগরিক সেবার জন্য যে কোন সময় ফোন করুন ০১৭১৭১৭৮২৪২
লেখক: মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ
১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন