সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.জায়েদুল আলমের নির্দেশেই বন্দর থানাধীন কামতাল তদন্তকেন্দ্রের ইনর্চাজ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন খাঁন বলেছেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি।
১৪ মার্চ শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা ও নামাজের পর মসজিদে গিয়ে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামুলক বক্তব্য রাখেন।
একই সঙ্গে মাদক বিরোধী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার প্রধান মাধ্যম হাত ও আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এবং এটা বেশি পরিমান ছড়াতে পারে মাদকসেবীদের মাধ্যমে। যেমন মাদকসেবী একজনেরটা আরে জন ব্যবহার করে। সিগারেট একজনেরটা আরেকজন গ্রহণ করে, ইয়াবা সেবনের ক্ষেত্রে একই কারণ।
তাই সাবান বা জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশা দিয়ে বারবার হাত ধৌত করলে মোটকথা হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে পারলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, বন্দরে আমার কর্মস্থল এলাকায় আমি নিজে শুরু করেছি, আমার থেকেই শুরু হোক এই কাজ। জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ জনবহুল স্থানগুলোতে অস্থায়ীভাবে হলেও হাত ধৌত করার সুব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, আমাদের এসপি মো. জায়েদুল আলম বলেছেন এই রোগ নিয়ে বিচলিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো আমাদের দেশে হয়নি। তবে গণপরিবহন ও লোকালয়ে সাবধানতার জন্য মাস্ক ব্যবহার করা উত্তম। সাবধানতাই সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র।
তিনি আরো বলেন, সঠিক পরিকল্পনা, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও সাবধানতা সৃষ্টি করতে পারার কারণেই করোনার উৎপত্তিস্থল খোদ চীনে এই মরণ ভাইরাসের সংক্রামণকে অনেকখানী ঠেকিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে।