সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সকলকে সতর্ক করে দিয়ে এসপি জায়েদুল আলম বলেছেন, যেসব কাজ সমাজের মানুষদের ভোগান্তির কারণ হয়, সে সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চশব্দে গান বাজনা করে থাকলে আমাদের জানাবেন। পুলিশ গিয়ে সাউন্ড বক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম তুলে নিয়ে আসবে। প্রতিবেশীদের কষ্ট দিয়ে নিজেরা আনন্দ করবেন, তা হবে না। ডিজে পার্টি কোন ধর্মে নেই। এগুলো ইহুদি-নাছারাদের কাজ। নারায়ণগঞ্জের কোথাও ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না।
এ ছাড়াও দেশে প্রাণঘাতি করোনার চেয়ে মাদক ও কিশোর গ্যাং বেশী ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। তিনি বলেছেন, করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর মাদক ও কিশোর গ্যাং। এগুলো পুলিশ, সাংবাদিক বা জনপ্রতিনিধি কারো পক্ষেই একা নির্মূল করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক কিশোরের বাবা-মা রয়েছেন। প্রতিটি ঘর থেকে বাবা-মা তাদের সন্তানদের কন্ট্রোল করলে আজকের কিশোররা গ্যাং সৃষ্টি করতো না। প্রতিটি বাবা মায়ের উচিৎ তার সন্তান কখন কোথায় যায়, কি করে, কার সাথে মিশছে তার খোঁজ-খবর রাখা। কিন্তু বর্তমান সমাজের বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের খোঁজ-খবর রাখছে না। যার কারণে, সমাজে কিশোর গ্যাং বৃদ্ধি পাচ্ছে।
‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এই শ্লোগানে ১৫ মার্চ রবিবার বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীকে সামাজিক ভাবে বয়কট করার ঘোষণা দিয়ে এসপি বলেন, মাদক নির্মূল করা কারো একার পক্ষে সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে হবে। জনগণের সাথে পুলিশের দুরত্ব দূর করতে হবে। পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাবা যাবেনা। জনগণের সাথে মিলে মিশেই পুলিশকে কাজ করতে হবে। পুলিশ ও জনগণ একসাথে কাজ করলে সমাজের সকল অপরাধ দুর করা সম্ভব হবে। মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে হবে। এতে করে সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও কিশোরগ্যাং অনেকটা কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, বিকেএমইএ’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ হাতেম, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল, সাধারন সম্পাদক এম শওকত আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি সারোয়ার আলম সোহেল, ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) তরিকুল ইসলাম সুজন, ইন্সপেক্টর (আইসিপি) আজগর হোসেন, ফতুল্লা কমিনিউটি পুলিশের সভাপতি মীর মোজাম্মেল আলী, সম্পাদক মোস্তফা কামাল, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আইয়ুব আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, তৈয়বুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।