সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপিকে আর বাংলার মসনদে বসতে না দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী এহসানুল হাসান নিপু। তিনি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মাটিতে যতোদিন বেঁচে থাকবো, যতোদিন জননেতা শামীম ওসমানের রক্ত আমাদের মাঝে বইবে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যারা স্বাধীনতা চায়নি, বিএনপি, জামায়াত, রাজাকার, আলবদরদের আর বাংলার মসনদে বসতে দেবো না।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা, ফতুল্লা ইউনিয়ন এবং ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৭ মার্চ মঙ্গলবার সাড়ে ৮টায় ফতুল্লার আজমেরীবাগ মাঠে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া, কেক কাটা, আলোকসজ্জা, আতশবাজির মাধ্যমে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী পালন করা হয়।
যুবলীগ নেতা আনিসুজ্জামান ও বারেকের সঞ্চালনায় জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসিন মিয়া, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওয়ালী মাহমুদ, ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিছির আলী, সাধারণ সম্পাদক রেহান শরীফ, আওয়ামীলীগ নেতা শামসুল ইসলাম, আমির হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এহসানুল হাসান নিপু আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১’র রূপরেখা দিয়েছেন, আমরা যতোদিন বেঁচে থাক, নতুন প্রজন্ম যতোদিন বেঁচে থাকবে জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণ হবে, আর বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের তুলে ধরে তিনি বলেন, ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনকের কালজয়ী ভাষনে বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলছিলেন এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সে ডাকেই সাড়া দিয়ে বাঙালী জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাত বিএনপি রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর এই স্বাধীন বাংলাদেশ ছিনিয়ে এনেছিল।
পাকিন্তানের কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের ইতিহাস টেনে নিপু বলেন, জাতির জনককে যখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন, আমাকে মেরে ফেল, আমার কোন আফসোস নেই। আমার এই দেহটিকে আমার বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দিও। আমাকে যদি হত্যা করে তোমরা খুশি হও তারপরও আমাকে হত্যা করো। তবে মনে রাখবা আমার বাঙালী জাতি বাংলাদেশকে স্বাধীন করবে এবং এই বীর বাঙালী জাতি তাদের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায় করবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। আমাদেরকে পরাধীনতায় আবদ্ধ থাকতে হতো।দেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। স্বাধীনতার চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে। শামীম ওসমানের দিকনির্দেশনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার নেতা শামীম ওসমান মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার। এদের কোন দল নেই। আমরা এদের কোন প্রশ্রয় দেবো না। জননেতা শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করবো। উচ্চআদালতের রায়ে জয় বাংলা জাতীয় শ্লোগান হিসেবে ঘোষিত হওয়ার তিনি বলেন, মুজিববর্ষে এটি জাতির জয়।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ দোয়া ও কেক কাটা হয়। এরপর মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মাঠে অর্ধশতাধিক আতশবাজি ফাটানো হয়। আজমেরী বাগের আকাশে শুরু হয় আতশবাজির লাল সবুজ নীলসহ নানান রঙয়ের আলোর ঝলকানি। বর্ণিল আলোর ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে আজমেরী বাগের আকাশ। আতশবাজির রংধনু রঙয়ের আলোর ঝলকানির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারন মানুষ আতশবাজি ফাটানো পর্ব উপভোগ করে। ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাঁদ থেকে নারী ও শিশুদের আতশবাজির আলোর ঝলকানি উপভোগ করতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন আহমেদ, নিজাম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা ইমন, দেলোয়ার, খোকন, সফর, মনির ও বাবু প্রমূখ।