সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারী নির্দেশনায় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও তা অমান্য করে নারায়ণগঞ্জে কোচিং সেন্টার চালু রাখায় তিনটি কোচিং সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সংবাদে আশে পাশের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করে পালিয়ে যায়। একই সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।
১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের কলেজ রোড এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিকের নেতৃত্বে এ অভিযান চালায়।
বন্ধ করা কোচিং গুলো হলো শিপনের মালিকানাধীন পড়ার ঘর কোচিং সেন্টার, পাশের একটি কক্ষে নারায়ণগঞ্জ কলেজের হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক শফিকুল ইসলামের কোচিং সেন্টার ও শ্যামল চন্দ্রের ইউনাইটেড আইটি ট্রেনিং সেন্টার। তাদের কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দুইশ টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা বারিক জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারী নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সরকারী নির্দেশ অমান্য করে অনেক কোচিং সেন্টার চালু রাখা হয়েছে। এমন সংবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের কলেজ রোডস্থ কোচিং সেন্টার পাড়ায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনটি কোচিং সেন্টার চালু পাওয়ায় তাদেরকে অর্থদন্ড করে প্রাথমিকভাবে সাবধান করা হয়। পরে ভবনের মালিকের উপস্থিতিতে তিনটি কোচিং সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, সরকারী নির্দেশ অমান্য করে যদি কোন কোচিং সেন্টার চালু রাখা হয় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। যার কারনে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।