সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পূর্বে আব্দুল হাইয়ের যে ইমেজ ছিল সেই ইমেজে কালিমা লেপন করেছেন তিনি। বিভিন্ন থানা এলাকায় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে অর্থের লেনদেনের অভিযোগ সহ রয়েছে পক্ষপাতমুলক কমিটি গঠন এবং ব্যক্তি বিশেষের রাজনীতিতে টিকিয়ে রাখতে কারো পারপাস সার্ভ করার মিশন স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। তেমনিভাবে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে সোনারগাঁয়ের ত্যাগী হেভিওয়েট রাজনীতিকদের রাজনীতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হাই ও সেক্রেটারি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী এমপির ইশরায় সোনারগাঁয়ে আনাড়ি ধাচের ব্যক্তিদের হাতে সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি তুলে দেয়া হয়েছে।
যেখানে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এইচএম মাসুদ দুলাল, উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছগীর আহমেদের মত নেতা থাকতে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি তুলে দেয়া হলো ওয়ানম্যান খ্যাত অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া ও জাতীয়পার্টির ঘেঁষা নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুুমের হাতে। এই কমিটি গঠনের পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু যার পূর্ববতী বংশধরদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠেছিল। এর আগে মাহফুজুর রহমান কালাম এক সমাবেশে বলেছিলেন, সোনারগাঁয়ে রাজাকার আলবদরদের বংশধরদের হাতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব যেতে পারে না।
এ ছাড়াও সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জেলা আদালতের প্রসিদ্ধ আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান, যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকে এটি ফজলে রাব্বী এবং সোনারগাঁয়ের কৃতিসন্তান সোনারগাঁও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট ছোবহান খন্দকারের মত ব্যক্তিদেরকেও আওয়ামীলীগের কমিটিতে রাখা হয়নি। ক্লিন ইমেজধারী এসব নেতাদের পাশ কাটিয়ে জাতীয় পার্টির এমপির তল্পিবাহক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি। যার পেছনে রয়েছে বিরাট রাজনৈতিক কারন।
সোনারগাঁয়ের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা যে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির প্রতি চরম ক্ষুব্ধ তার প্রমান দিয়েছে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর। ওইদিন জেলা আওয়ামীলীগের দুই নেতা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ধাওয়া দিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এসব নেতারা কোন রকমে ইজ্জত বাঁিচয়েছেন। জামপুর ইউনিয়নে কমিটি গঠন করতে গেলে নেতাকর্মীদের ধাওয়ার শিকার হয়েছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দুই নেতা।
এদিকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিল না। উপজেলার শীর্ষ নেতাদের বাদ দিয়ে ওয়ানম্যান খ্যাত সামসুল ইসলাম ভুইয়াকে আহ্বায়ক ও জাপা ঘেঁষা আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি দেয়া হয়। কমিটি গঠনের পর জেলা আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতারা টাকার বিনিময়ে এই কমিটি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকি ৩৪জন শীর্ষ নেতা অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু গঠনতন্ত্রের দলের নিয়ম মানার কারনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সেক্রেটারি শহীদ বাদলের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ।
ফলে বৈধতা পায় সামসুল ইসলাম ও মাসুমের আহ্বায়ক কমিটি। কিন্তু তাদের একমাত্র ভরসা এই আহ্বায়ক কমিটি। তাদের নেতৃত্ব মানতে নারাজ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মুজিববর্ষে উদযাপনেও তেমনটাই দেখা গেল। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন না নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করেছেন কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালামের সঙ্গে। আর সামসুল ইসলাম ও মাসুম কর্মসূচি পালন করেছেন জাতীয় পার্টির এমপি খোকাকে নিয়ে। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরে জাতীয় পার্টির এমপিকে নিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন সামসুল ইসলাম ও মাসুম। তারা আগে থেকেই জাতীয়পার্টির হয়ে কাজ করছিলেন। মুলত জেলার রাজনৈতিক কারনে খোকার নিয়ন্ত্রনে দেয়া হয়েছে আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি। কিন্তু কমিটির সঙ্গে নেই আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো।
গত ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে এই আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ দেখা যায়নি। প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা ও আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালামের সঙ্গে কর্মসূচি পালন করেছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবিমতে ও বিভিন্ন সূত্রে থেকে পাওয়া তথ্যে জানাগেছে, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা লিয়াকত হোসেন খোকা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে জোড়ালোভাবে আলোচনায় আসেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান। এরপর পৌরসভা নির্বাচনের আগেই আমিনপুর মাঠে বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমানের হাতে ফুলের নৌকা তুলে দিয়ে সোনারগাঁয়ে পুরোদস্তর মাঠে নামেন শামীম ওসমান। তারপর থেকে সরাসরি শামীম ওসমান এখন সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে বেশ আলোচিত ব্যক্তি।
তবে শামীম ওসমান সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে প্রভাব খাটাবেন এমন বিষয়টি মানতে পারেননি প্রয়াত আবুল হাসনাতের ভাই বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও আবুল হাসনাতের ছেলে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তারা চেয়েছিলেন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তার হাতেই নিয়ন্ত্রি হবে। তবে সোনারগাঁয়ে এমপি খোকা প্রবেশের পূর্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের মাধ্যমে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে আলোচনায় থাকেন শামীম ওসমান। কিন্তু পরবর্তীতে শামীম ওসমানের সঙ্গে কালামের পরোক্ষ কারনে দুরুত্ব সৃষ্টি হয়।
তারপর থেকে মোশারফ হোসেন, কায়সার হাসনাত ও কালাম তিনজনই শামীম ওসমানের নিয়ন্ত্রন থেকে সটকে পড়েন। নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের চিরপ্রতিদ্বন্ধি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে মোশারফ হোসেন ও কায়সার হাসনাতের। আবার বেশকবার কালামকেও আইভীর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। তারপর থেকে শামীম ওসমান সুযোগ খুজতে থাকেন এই তিনজনকে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে কোনঠাসা করতে। আর সেই সুযোগটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সেক্রেটারি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের মাধ্যমে কাজে লাগিয়েছেন। আওয়ামীলীগের শীর্ষ আলোচিত এই তিন নেতাকে বাদ দিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন, যেখানে কর্মী শূন্য সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। এর পেছনে হাত রয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুর।
এই কমিটি গঠনের পর তার বিরোধীতা করে আসছিলেন মোশারফ হোসেন, কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম। পকেট কমিটির সামসুল ইসলাম ও মাসুম যখন সোনারগাঁয়ে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেন তখন উপরোক্ত তিন নেতার কর্মী সমর্থকেরা তা প্রতিহত করেছেন। সোনারগাঁও থেকে দৌড়ে পালিয়েছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ দুই নেতা সহ স্থানীয় জাতীয় পার্টির এমপির অনুগামী কমিটির নেতারা। কমিটির বিষয়টি সূরাহ করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সেক্রেটারির দ্বারস্থ হয়েছিলেন কায়সার কালামরা। কিন্তু ১৯ ফেব্রুয়ারি সামসুল ইসলাম ও মাসুমের কমিটিকেই বহাল রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ। এক মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন শামীম ওসমান। এই কমিটির কার্যক্রম বহাল রাখার সিদ্ধান্তের ঘটনায় সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের রাজনীতির পাশাপাশি কায়সার ও কালামের রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলেন এমপি শামীম ওসমান।
গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জাতীয়পার্টিতে যোগদান করছেন। কেউ কেউ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে থাকলেও এবং কমিটিতে থাকলেও জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করছেন। যেমন সামসুল ইসলাম ও মাসুমের কমিটি গঠনের পর তারা জাতীয় পার্টির এমপিকে নিয়েই কাজ করছেন। এবার সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টার পাশাপাশি নিজেদের রাজনীতিতে বাঁচাতে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম। মুলত সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন এই তিনজনের নেতৃত্বেই। সেখানে মোশারফ হোসেন, কায়সার হাসনাত ও কালামের মত নেতাদের রাখা হয়নি আওয়ামীলীগের কমিটিতে। সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা আব্দুল হাই ও শহীদ বাদলকে আওয়ামীলীগ ধ্বংসের কারিগর হিসেবে অভিযোগ তুলছেন।
অন্যদিকে জানাগেছে, বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের এক বিশেষ যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া ও মাসুমের কমিটিই বহাল রাখা হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জের জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল।
দলের ঢাকা বিভাগের অধীন সব সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি বহাল থাকবে এবং এ কমিটিই সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এমনটা জানান আবুল হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল।
তিনি জানান, ওই সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহবায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম আহবায়ক করে যে ৮সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে সে কমিটিই বহাল রাখা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী মাসের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। দলীয় সভাপতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সকলের সিদ্ধান্তক্রমে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা কমিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। এছাড়া এ সভায় পুরানো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান, আব্দুর রহমান, মো. শাহজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোহাম্মদ মন্নাফি, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, গত বছরের ১৫ জুলাই সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহবায়ক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম যুগ্ম আহবায়ক করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ। এ আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে জেলা ও থানার আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতা বিরোধিতা করে কেন্দ্রে একটি চিঠি প্রেরণ করেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া কেন্দ্রীয় নেতারা বর্তমান আহবায়ক কমিটিকে বৈধ ঘোষণা করে সকল কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে।