সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের মদনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-১১) ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। ৪৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় মাদক বিক্রয়ে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। ২১ মার্চ শনিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, র্যাব-১১ মাদক বিরোধী অভিযানে ২০মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকা হতে ৪৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ১২ হাজার ৭’শ টাকা সহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত একটি নোহা মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
র্যাব আরও জানায, কক্সবাজারের এক ইয়াবা পাচারকারী চক্র মাইক্রোবাসযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ২০ মার্চ রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছদ্মবেশে অবস্থান নেয়। রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশনে থামে এবং সন্ধিগ্ধ ২জন লোক মাইক্রোবাস থেকে ২টি পোটলা গ্রহণ করার সময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা মোঃ জামাল হোসেন ও মোঃ তানভীর হাসান বলে জানায় এবং তাদের দখল থেকে উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন মাইক্রোবাসটি পালানোর চেষ্টাকালে র্যাবের আভিযানিক দল ব্যারিকেড দিয়ে মাইক্রোবাসটি আটক করে।
মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা সন্ধিগ্ধ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ জামাল উদ্দিন। গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করে পেছনের শাটার দরজার প্যাডের ভিতরে রাখা ৩৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ইসলামপুর ও মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়ি চকরিয়া থানাধীন ভরামহরী এলাকায় এবং মোঃ জামাল হোসেন ও মোঃ তানভীর হাসানের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানাধীন মশাং ও বাবরখানা এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাসে অভিনব কৌশলে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা আনয়ন করে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এছাড়াও তারা বরিশাল অঞ্চলেও নিয়মিত ইয়াবা সরবরাহ করত। জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করে যে তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে এবং তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা। মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।