সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে বিনা বেতনে যে ব্যক্তি সেবা দান করেন, তিনি স্বেচ্ছাসেবক। তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের সেদিকে আগ্রহ নারায়ণগঞ্জে নেই। তাঁদের আগ্রহ রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ব্যবসা-ঠিকাদারি সহ টাকা কামাইয়ের নানা কার্যক্রমে। সে কারণে দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় তাঁদের সেবা দিতে দেখা যায় না। এর নেতাদের দাবি, তাঁরা দলীয় কর্মসূচিতে সেবা দেন। তবে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ হোসেন তার ২২ ভাড়াটিয়ার জন্য এক মাসের বাড়িভাড়া মওকুফ করেছেন।
সংগঠনটির সূত্রে, আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে জন্ম নিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবক লীগ। স্বেচ্ছাসেবক লীগ মূলত সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের পুণর্বাসনকেন্দ্র। এ সংগঠনের প্রায় ৯৫ শতাংশ নেতা ছাত্রলীগ থেকে আসা। ছাত্রলীগ থেকে বের হওয়ার পর যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের কমিটিতে যেতে মাঝখানে লম্বা সময় পরিচয়হীন থাকতে হতো আগে। এই সময়টায় তাঁরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করেন।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণে দেখা গেল না নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগকে। নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া খোকনকে এখনও দেখা যায়নি জনগণের পাশে। একইভাবে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন ও সেক্রেটারি কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ দুলাল প্রধারকেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জনগণের পাশে দেখা যায়নি। যদিও দুলাল প্রধান তার নির্বাচিত ওয়ার্ড এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে নেমেছেন। কিন্তু মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে অসহায় গরীব মানুষের পাশে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কিংবা মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।