সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গত ১ এপ্রিল বুধবার সকালে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ভৌমিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সহ ৬জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে যখম করার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা থাকলেও সেটা এখানে মানা হয়নি। উল্টো ঝুঁকি নিয়ে এই মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছেন কয়েকশ নারী ও পুরুষ। যার পেছন থেকে আয়োজন করেছেন ওই মেম্বার।
সকাল ১১টার দিকে ভৌমিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় এলাকার কয়েক’শ নারী-পুরুষ প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। এ সময় প্রতিবাদকারীরা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত বুধবার সকালে নেহাল উদ্দিন মেম্বার সহ তার লোকজন বাড়িতে ফেরার পথে রফিকের বাড়ির সামনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাধুরচর পাচানীপাড়া এলাকায় বাবুলের নেতৃত্বে আউয়ার, আশিক, মিজান, এছাক, সিরাজ, আল-আমিন, আলমগীর, দাউদ, রিপন, হারুন, মোজাম্মেল, কালাই চাঁন ও মুসা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইউপি সদস্য নেহাল উদ্দিন (৪৩), সিরাজ (৫০), আমিন উদ্দিন মেম্বার (৫০), জহিরুল (৪০), কায়েস (১৭), শাহিন ও তানবির হোসেন রুবেলের পথরোধ করে তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বাবুলের নেতৃত্বে তার পালিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ইউপি সদস্য নেহাল উদ্দিন সহ ৬ জনকে কুপিয়ে যখম করেছে। পুলিশ বুধবার রাতে প্রধান আসামি বাবুলকে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে জানাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ দেওয়ান বলেন, হামলার ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে বাবুলের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষে দুই জনকে আটক করা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে মীমাংসার শর্তে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।