সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর আমবাগান এলাকার আবু সাঈদ (৫০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর ওই এলাকা লকডাউন করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। রাত ১টার দিকে ওই এলাকা লকডাউন করা হয়।
এর আগে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন আবু সাঈদ। ৪ এপ্রিল শনিবার সকাল ৯টার দিকে তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেলেও বিষয়টি দিবাগত রাতে জানাজানি হয়।
আবু সাঈদ নামে ওই বৃদ্ধ গত ৮ থেকে ৯ দিন ধরে জ্বর-সর্দি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ কদিন বাড়িতেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার তার অবস্থার অবনতি ঘটে।
পরে বাংলাবাজার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি ও নয়ামাটি এলাকার হোসেয়ারি ব্যবসায়ী রবিন ও তার কয়েকজন বন্ধু বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাশিপুর বাংলাবাজার আমবাগান এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
এ ঘটনার পর শনিবার রাত ১টার দিকে ওই এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক মাইকিং করে এ লকডাউন ঘোষণা করেন।
একটি সূত্র জানা যায়, আবু সাঈদ মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ তার ছেলে রবিন বাংলাবাজার নিয়ে আসতে চাইলে বন্ধুরা এতে বাধ সাধেন এবং আইইডিসিআরে পরীক্ষা করাতে বলেন। পরে, আইইডিসিআরে সংবাদ দেওয়া হলে নিহত আবু সাঈদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে এদিন রাতে আইইডিসিআরের রিপোর্টে তার পজিটিভ আসে। এরপরই সরকারি ব্যবস্থাপনায় খিলগাঁ তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বিশেষ ব্যবস্থাপনায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক জানান, কাশিপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার বড়আমবাগান (সুচিন্তাপুরনগর) এলাকার আবু সাঈদ মাতবর শনিবার সকাল ৯টার দিকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আমবাগান এলাকার উত্তরে মাদ্রাসার শেষ মাথা হেয়ায়েতুল্লাহ খোকনের বাড়ি থেকে দক্ষিণে বাংলাবাজার ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত এবং পূর্বে হাসেমবাগ লেন মোড় থেকে পশ্চিমে প্রধান বাড়ির মেইন রোড পর্যন্ত লকডাউন করা হয়েছে।