ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ায় করোনা রোগী সনাক্ত, ২০০ পরিবার লকডাউনে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ায় একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত। করোনা রোগীর পরিবার সহ বাড়ীর ৮টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইন পাঠানো সহ এলাকার ২০০টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।

৫ এপ্রি রবিবার দুপুরে আইইডিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা রোগীকে জেলা করোনা ফোকাল পার্সন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম নেতৃত্বে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এলাকার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডে পাশে গাফফারিয়া তালিমুল ইসলামি কওয়ামি মাদ্রাসা থেকে কাশেম মোল্লার বাসা পর্যন্ত ও জলিল আয়রন থেকে সিরাজুল ইসলামের বাসা পর্যন্ত এই লকডাউন দেওয়া হয়।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব লামাপাড়ার স্বপ্না নীড় হাউজের বাকি মিয়া (৫৫) নামে একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। বাকি মিয়ার বাসা ফরিদপুর জেলায়। শনিবার তাকে মানিকগঞ্জ জেলার তাবলীগ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার নমুনা সংগ্রহ করে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয় এবং লামাপাড়া তার মেয়ের জামাইয়ের বাসায় নিয়ে আসে। রাতে আইইডিসিআর রিপোর্টে পজেটিভ পাওয়া গেছে। তার গত কয়েকদিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা সহ করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। রবিবার দুপুরে করোনা আক্রান্ত রোগীকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং স্বপ্না নীড় হাউজিং ৮টি ফ্লাটে ৮টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইন দেওয়া হয়েছে।

লকডাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, যেহেতু করোনা রোগীর আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে এলাকার মানুষ এসেছে তাই এখানে ২০০ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকবে। এই ২০০টি পরিবারের খাদ্য সামগ্রী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন সরবরাহ করবে।

লকডাউনের সময় ইউএনও নাহিদা বারিক পুরো এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে ঘরের ভেতরে থাকতে এবং বের না হতে সতর্ক করে দেন এবং প্রত্যেক পরিবারের খাবার পৌছিয়ে দেবার আশ্বাস দেন।

এছাড়া লকডাউনের আওতায় রাখা পরিবারগুলোর সদস্যদের কাছে ইউএনও, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওসি, চেয়ারম্যান সহ সবার মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। যাতে অন্য কারো শরীরে করোনা রোগের উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জানাতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে চাল ডাল সহ যে কোন সামগ্রী প্রয়োজন হলে ফোন করে জানালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সরবরাহ করা হবে।

লকডাইন অভিযানে ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, জেলা করোনা ফোকাল পার্সন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক) সার্কেল মোঃ মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, ফতুল্লা এসিল্যান্ড মোঃ আজিজুর মাসুম, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোঃ আসলাম হোসেন ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল আলম সেন্টু প্রমূখ।