সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া এক পোশাক শ্রমিকের লাশ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কায়েমপুর ইউনিয়নে বিয়াঙ্গারু গ্রামে ১১ এপ্রিল শনিবার গভীর রাতে এনে গোপনে দাফনের চেষ্টা করা হয়। জানতে পেরে এলাকাবাসী লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এসে রাতেই লাশটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে নিয়ে যায়। নমুনা সংগ্রহের জন্য নিহত ও তার স্ত্রী সহ ৪ স্বজনকে নিয়ে গেছে।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ শামসুজ্জোহা জানান, নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া আব্দুর রহিম (৫০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের লাশ এনে গভীর রাতে নিজ গ্রামে দাফনের চেষ্টা করেন তার স্বজনরা। এলাকার লোকজন এতে বাধা দেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন লাশটি উদ্ধার করে।
শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম খান বলেন, লাশ ও স্বজনদের আপাতত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। স্বজনরা ওই ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনার আগেই ‘ব্রডডেথ’ বা বাড়িতে মারা মারা গছে। শনিবার দুপুর আব্দুর রহিমকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। নারায়ণগঞ্জ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে কিভাবে গ্রামে তারা লাশ নিয়ে আসলো তা ভেবে হতবাক হয়েছি।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রহিম ও তার স্ত্রী-স্বজনদের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নমুনা সংগ্রহের পর লাশ দাফন এবং বাকিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার প্রক্রিয়া করা হবে।