সরকারি বরাদ্ধের সঙ্গে ভর্তুকি দিয়ে ত্রাণ বিতরণে সেন্টু চেয়ারম্যান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ত্রাণ বিতরণে সরকারি বরাদ্দের সঙ্গে নিজ ভর্তুকি দিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু। তিনি বলেছেন, মরণব্যাধি নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে কুতুবপুর ইউনিয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে যে ত্রাণ আসে তাতে চাহিদা মিটছেনা, নিজস্ব তহবিল থেকেও দিচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ আসা মাত্রই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দিচ্ছি।

১৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আসা ত্রাণ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আজ সোমবার পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ১২ হাজার পরিবারের ত্রাণের জন্য আবেদন করেছি। আর পেয়েছি মাত্র চার হাজার ৬০০ পরিবারের জন্য পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে ৪৫টন চাল ও এক কেজি করে ডাল। যেটা চাহিদা মিটানোর অর্ধেকও হয় না।

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ত্রানের জন্য আরো আবেদন জমা পড়ছে। তার পরিমানও কয়েক হাজার হয়ে যাবে। সেগুলো মঙ্গলবার সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেব। সব মিলিয়ে চাহিদার পরিমান ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এত বিশাল চাহিদার বিপরীতে যা পেয়েছি তা বিতরণের পর আরো প্রায় ১০ হাজারের উপর পরিবার থেকে যায়। সেগুলোকে সামাল দিব কিভাবে?

চেয়ারম্যান সেন্টু বলেন, সরকারি ত্রাণ দিয়ে সামাল দেয়া যাচ্ছেনা বিধায় নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আরো প্রায় দুই হাজারেরও অধিক মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। কিন্তু তারপরও একটা বিশাল অংশ বঞ্চিত থেকে যায়। এ পরিস্থিতিতে সরকারি ত্রাণের বরাদ্ধ চাহিদা মাফিক বৃদ্ধি করা না হলে সামনে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম, সংরক্ষিত নারী সদস্য আরজুদা খুকি ও অনামিকা হক।