নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালানোর সময় আরও ২০০ জন আটক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিশু সহ আরো ২০০জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের বহনকৃত ৫টি ট্রাক আটক করা হয়েছে। এর আগেও ফতুল্লা থেকে প্রায় ৪শতাধিক জন পালানের সময় আটক করা হয়েছিল।

অন্যদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক আর খাদ্য সংকটে প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়াও সময় আটক হচ্ছে শত শত মানুষ। এর আগে ১৫ এপ্রিল ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১২০জন, ১৪ এপ্রিল রাতে ফতুল্লা বিভিন্ন স্থান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পিকআপ ১টি ট্রাক ও ১টি বাল্কহেড সহ ৪ শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত মাত্র তিনদিনে আরো ৫ শতাধিক মানুষ আটক করা হয়।

১৭ এপ্রিল শুক্রবার রাতে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকা, মুসলিমনগর এলাকা হতে তাদের আটক করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আটকৃকতরা অধিকাংশই গার্মেন্টকর্মী। তারা কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট যাওয়ার জন্য ৫টি ট্রাক ভাড়া করে পালোনো চেষ্টা করছিল।

আটককৃতদের অভিযোগ- গত ২৫ মার্চ থেকে নারায়ণগঞ্জের সকল কর্মস্থল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ও দিনমজুররা। এ কয়েকদিন কোনো রকম সংসার চালাতে পারলেও এখন আর সম্ভব হচ্ছে। অনেকে ত্রাণ পেলেও তাও এখন শেষ। তাই নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছে তারা।

এদিকে করোনা আতংক নিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, শুনেছি নারায়ণগঞ্জের অবস্থা খুব খারাপ। অনেক মানুষ মরতাছে। এ অবস্থা হয় তাইলে আমাদের কি হইবো? তাই জীবনের এ সময়টুক বাপ-মা’র সাথে কাটাইতে চাই।
আটক এক বৃদ্ধা বলেন, মরলে তো ভিটার মাটি তো পামু। এনে তো কেউ ছুঁইয়াও দেখতো না।

ফতুল্লা মডেল থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পরিদর্শক (আইসিপি) আজগর হোসেন, এসআই রাসেল শেখ, এসআই ফজলুল হক পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি ট্রাকসহ ২০০ গার্মেন্টকর্মীকে আটক করে। পরে তাদের বুঝিয়ে নিজ নিজ বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের বহনকৃত ৫টি ট্রাক চালক ও হেলপারসহ আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, শিশু সহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে ট্রাকে করে যাতায়াত করছে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় ভয়াবহ কোনো দূর্ঘটনা করতে পারে। আমরা বার বার বলছি করোনা ভাইরাসের এ সময়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। তবুও মানুষ রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা জেলা পুলিশ সড়ক পথের পাশাপাশি নৌ পথেও টহল জোরদার করেছি। তবে টহল আর আটকে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। নিজেদেরও সচেতন হতে হবে।