সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা মরণঘাতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশে একটানা লকডাউনের কারণে ঘরবন্দী থাকা অসহায় পরিবারগুলোর একটি মানুষও যাতে না খেয়ে থাকে সেজন্য ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়ে চলমান সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন সহয়তা।
সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও যার যার অবস্থান থেকে সামর্থ অনুযায়ী অসহায়দের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাই দুর্যোগকালীন কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে ব্যক্তি উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা লামাপাড়ায় নিজ এলাকার অসহায় ২০০ পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য উপহার সামগ্রী পৌছে দিয়ে তাদের পাশে থেকে কিছুটা হাসি ফোঁটানোর চেষ্টা ক্ষুদ্র প্রয়াস করেছেন কাজী প্রিন্টিং এন্ড এক্সেসোরিজ লিমিটেডের এমডি কাজী ফাহাদ দিপু।
২২ এপ্রিল বুধবার দুপুরে কাজী ফাহাদ দিপুর সৌজন্যে ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকার ২০০ পরিবারের ঘরে লামাপাড়া যুব সমাজের পক্ষ থেকে খাদ্য উপহার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে কাজী ফাহাদ বলেন, একটানা লকডাউনের কারণে শুধু দিনমজুর বা হতো দরিদ্ররাই নন, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও খাদ্য সংকটে ভুগছেন, তারা না পারছেন কাউকে বলতে, না পারছেন চাইতে। দেশের চলমান এই সংকট নিরসনে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সবকিছু সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সমাজের মানুষ হিসেবে আপনারও কিছু দ্বায়বদ্ধতা আছে, ধর্মীয়ভাবেও দ্বায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধাতা থেকেই সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাড়াতে।
তিনি আরো বলেন, সংকটে পতিত এ সব মানুষের সাহায্য করে আপনি তাদের সাহায্য করছেন না বরং নিজেকেই সাহায্য করছেন। কারণ, এ সব মানুষ যখন আপনার উপহার পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসবেন আর মন থেকে খুশি হবেন, তখন সেটাই হবে আপনার জন্য বড় দোয়া। বড় পাওয়া। তাই শুধু পাশে থেকে এলাকার মানুষের মুখে কিছুটা হাসি ফোটানো আর আল্লাহকে খুশি করার প্রয়াস মাত্র।
এদিন, লামাপাড়া এলাকার ‘কাজী বাড়ি’ থেকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রতিটি পরিবারের দরজায় দরজায় খাদ্য উপহার সামগ্রী পৌছে দেয় লামাপাড়া যুব সমাজের সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাজী ফয়সাল, মোঃ অবদুল কুদ্দুস, মোঃ জামিল, মোঃ রাকিব, মোঃ রিয়াদ, মোঃ শিহাব, মোঃ রিফাত, মোঃ মনির, মোঃ রাব্বি, মোঃ বাবলা, মোঃ সাগর প্রমুখ।