সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া মির্জা বাড়ি মোড় এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একই পরিবারের ১৭ জন সদস্যের দায়িত্ব নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক।
২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনও নাহিদা বারিক কুতুবপুরের দেলপাড়া করোনা রোগী সনাক্ত এলাকায় যান এবং ড. শিল্পী আক্তারের বাসা সহ আশেপাশের বেশকটি গলি লকডাউন করে দেন।
এর আগে এলাকাবাসী সকালে ডা. শিল্পী আক্তারের পরিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তে খবর পাবার পর থেকে এলাকাবাসী ওই বাড়ির উপর বিভিন্ন অমানবিক অত্যাচার শুরু করে দেয় এবং এ্যাম্বুলেন্স এলাকায় ঢুকতে দেয়নি এলাকাবাসী। এমনকি ওই পরিবারটিকে এই বাসা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন।
এ সময় ড. শিল্পী আক্তারের পরিবারের উদ্দেশ্যে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। আপনার মেয়ে দেশের জন্য কাজ করছে। নিজের জীবন ঝুঁকিতে রেখে করোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য কাজ করছে। এটা আপনাদের গর্ব। আপনাদের পরিবারের দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন অর্থাৎ আমি নিচ্ছি। আপনাদের যখন যা প্রয়োজন হবে আমাকে জানাবেন। দরকার হলে আমি এসে দিয়ে যাবো। আপনাদের বাজার ও খাবার উপজেলা থেকে করে দেওয়া হবে। আপনারা তারপরও বাসা থেকে বের হবেন না।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই মহামারি আপনাদের জন্য শুধুমাত্র ড. শিল্পী কাজ করছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছে ৩০০শয্যা খানপুর হাসপাতালে কিন্তু আপনাদের ভিতর মানবিকতা বলতে কিছু নেই। আজকে এই পরিবারের ১৭ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সেই খবর পেয়ে আপনারা তাদের সরিয়ে দিতে বলছেন এখান থেকে। পারলে এই বাসা এখান থেকে আপনারা সরিয়ে দেন। সকালে এখানে এম্বুলেন্স ঢুকতে দেন নাই। আপনাদের ভিতরে কি মানবিকতা বলতে কিছু নেই? আজ যদি আপনাদের পরিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতো তাহলে এই ড. শিল্পী এগিয়ে আসতো। এই পরিবারের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি সিভিল সার্জনের সাথে আমার কথা হয়েছে। আর আপনাদের বার বার বলছি আপনারা বাসা থেকে বের হবেন না। আপনার পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আপনারা বাসা থেকে বের হবেন না।