সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বছরব্যাপী যেসব পরিবহন শ্রমিক নেতা পরিবহন সেক্টর থেকে শ্রমিকদের কল্যাণের অজুহাতে চাঁদা আদায় করতেন ওইসব চাঁদার টাকা মহামারি করোনাভাইরাসের সময়েও শ্রমিকদের পেছনে ব্যয় হচ্ছেনা। এমন বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিআরটিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
ওইসব পরিবহন নেতাদের আয়ের উৎস নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর তদন্ত দাবি করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার অনলাইন সান নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আজকে পেটের দায়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও শ্রমিকেরা গাড়ি চালাতে চাচ্ছেন। কারন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে পরিবহন শ্রমিকেরা বেশ বেকায়দায় রয়েছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো যেসব পরিবহন শ্রমিক নেতা, পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রন করেন এবং সারা বছর চাঁদা আদায় করেন তারা এখন পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেনা কেন? সে সব চাঁদার টাকা এখন কোথায়? যা শ্রমিকদের কল্যাণের অজুহাতে আদায় করা হতো।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন বিআরটিসির চেয়ারম্যান ছিলাম তখন পরিবহন থেকে যারা চাঁদাবাজি করে তারা আমার অব্যাহতি দাবিও করেছিল। কিন্তু আমি তাদের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলাম। পরিবহন থেকে যে চাঁদা ওঠে তা উপর থেকে নিচ পর্যন্ত অনেকের পকেটে যায়। যে কারনে এই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও পরিবহন শ্রমিকদের পাশে তারা নাই। যে কারনে পরিবহন শ্রমিকেরা এমন পরিস্থিতিতেও গাড়ি চালাতে চাচ্ছে। আমি মনে করি যারা পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করে তাদের আয়ের উৎস নিয়ে দুদকের তদন্ত করা উচিত।