সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনা পরিস্থিতি পরবর্তী সময়ে বড় ধরণের দূর্ভিক্ষ ঠেকাতে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে দেশের মানুষের প্রতি এখনি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
তিনি মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বেশ বেকায়দায় রয়েছেন। বিশেষ করে যারা গরীব অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবার তাদের এখনি খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খাদ্যের জন্য মিছিল করতেও দেখেছি। লকডাউনে মানুষ ঘরে বসে থাকায় খাদ্য শস্যের উৎপাদন বাড়ছে না। যা উৎপাদন শুরু হয়েছিল সেগুলোই মানুষ খাচ্ছেন। এতে করোনা পরিস্থিতি শেষে খাদ্যের অভাব দেখা দিবে।
এমনটাই মনে করে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সান নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমি মনে করি দেশের প্রতিটি মানুষ তার বাড়ির আনাচে কানাচে এবং বাড়ির ছাদে এখনি কৃষি পণ্যের উৎপাদন শুরু করুক। গ্রামাঞ্চালে যাদের টিনের ঘর রয়েছে তাদের টিনের ঘরের চালে মাচা বেধে লাউ গাছ, চিচিংগা, কুমড়া, উস্তা, পুঁইশাক, দুন্দুল গাছ তুলে দিলে করোনা পরবর্তী সময়ে এসব দিয়েই খাদ্যের চাহিদা মেটানো যাবে।
তৈমূর আলম আরও বলেন, মোট কথা দেশের এক ফিট জায়গাও ফেলে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে প্রতিটি স্থানে একটি করে শস্য বীজ বুনে রাখলেও আমাদের দেশে ফসল ফলে। এমনকি বাড়ির বাড়ান্দার টপেও সবজি চাষ করা যায়।
তিনি মনে করেন, যদি কৃষি পণ্যের উৎপাদন এখন থেকেই শুরু করা না হয় তাহলে করোনা পরবর্তী সময়ে হয়তো দেখা যাবে মানুষের পকে টাকা আছে কিন্তু খাবার নাই। তাই এখনও এ বিষয়ে দেশের প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। কৃষির পণ্যের উৎপাদন শুরু করতে হবে।
অন্যদিকে এখানে উল্লেখ্যযে, ইতিমধ্যে গত ৭ এপ্রিল থেকে নারায়ণগঞ্জের অসহায় দিনমজুর কেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করছেন তৈমূর আলম খন্দকার। জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রথম দফায় তিনি ১০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। পরবর্তীতে আরও ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ঘোষণা দেন যা ইতিমধ্যে চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি ফতুল্লার বক্তাবলী ও বন্দর থানা এলাকাতেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি সমস্যায় থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদেরও পাশে দাঁড়িয়েছেন।
একই সময়ে তিনি করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান রাখেন। তার এই আহ্বানে নিয়মিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কৃষকের জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে নিয়মিত তার নির্দেশে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বন্দরের যুবদল নেতা আহাম্মদ আলীর নেতৃত্ব ধান কাটার কমিটি গঠন করা হয়েছে যে কমিটিকে কৃষক জানালে তারা কৃষকের ধান কেটে দিবেন। একইভাবে ফতুল্লায় যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব কৃষকের ধান কাটা কমিটি গঠন করেছেন যে কমিটি কৃষকের ধান কেটে দিবেন। তৈমূর আলম খন্দকার ঘোষণা দিয়েছেন যেসব নেতাকর্মীরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে গণসংবর্ধনা দিবেন তিনি।