সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে এসে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে গেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিয়েও দেখা গেল জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের মাঝে বিরোধ ও মতপার্থক্য। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি সহ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা আসলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না ১২ জনের কমিটির ৮ জন নেতা। তবে এ নিয়ে অনুপস্থিত নেতাদের মাঝে পাওয়া গেল নানা অভিযোগ।
জানাগেছে, ১৬ মে শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতির মশিউর রহমান রনির বাসভবনের সামনে গরীব মানুষের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। মশিউর রহমান রনির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফজলুর রহমান খোকন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পার্থ দেব মন্ডল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন রাজু, রাজু শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল মামুন ও মশিউর রহমান শান্ত প্রমূখ।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মিয়া, সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান মানিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, রফিকুল ইসলাম রফিক, রাকিব হাসান রাজ সহ ৮ জন নেতা। এ বিষয়ে ১৭ মে রবিবার খায়রুল ইসলাম সজীবের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি আসা ওই অনুষ্ঠানের উপস্থিত না হওয়ার কারন জানতে চাইলে মঈনুল হাসান রবিন সান নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমি এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতাম না। যারা এর আয়োজন করেছেন তারা স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন। শুরু থেকেই তাদের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে আমি তাদের সঙ্গে বিরোধে জড়াচ্ছিনা।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে কোন কর্মসূচি পালন করতে হলে ১২জনকে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কবে কখন কোথায় কিভাবে কর্মসূচি পালন করা হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে যেহেতু সকলে এক সঙ্গে বসা সম্ভব নয় তাই অন্তত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার কিংবা মোবাইলেও আলোচনা করা যেতো। কিন্তু আমি যুগ্ম সম্পাদক অথচ অনুষ্ঠানের সাত ঘন্টা আগে যদি আমাকে জানানো হয় তাহলে সেই অনুষ্ঠানে তো আমি যাবো না। আমার আগে কর্মীরা জানতো অথচ আমিই জানতাম না।
এ বিষয়ে রাকিব হাসান রাজ বলেন, সভাপতি আমাকে আগের দিন ফোন করে জানালেন জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী দিবেন এবং কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন। কিন্তু কে বা কারা আসবেন সেটা বলা হয়নি। আর তাছাড়া জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে কোন কর্মসূচি পালন করতে হলে সবাইকে নিয়ে বসে কর্মপরিকল্পনা করে করতে হবে। আগের দিন আমাদের মেহমানের মত জানালে তো আমরা যাবো না।
তবে এ বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।