সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় চান মিয়া নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২১মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের জামতলা এলাকায় মেয়ের বাড়ি থেকে ধর্ষণের অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালা জসিম মুন্সির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার দরিদ্র হওয়ায় এক হাজার টাকা দিয়ে বাড়ির মালিক ঘটনাটি মীমাংসা করে দেয়।
এদিকে এর আগে গত ১৯ মে দিনের বেলা ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় জসিম মুন্সির বাড়ির নীচতলার ভাড়াটিয়া ভাড়া শুটকি ব্যবসায়ী চান মিয়া কৌশলে তার ঘরে নিয়ে একই বাড়ির ভাড়াটিয়া শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলব থানাধীন পুটিয়া এলাকার জব্বার বেপারীর ছেলে চান মিয়া।
ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবারের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের জানান, ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর প্রাইমারী স্কুলের আগে জসিম মুন্সির বাড়ির নীচতলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলব থানাধীন পুটিয়া এলাকার জব্বার বেপারীর ছেলে চান মিয়া। সে এলাকায় শুটকি বিক্রি করে। আর একই বাড়ির ৪র্থ তলায় বাবা মা সহ নানীর সাথে বসবাস করে ধর্ষণের শিকার শিশু। কিছুদিন আগে ছোট শিশুটিকে নানীর কাছে রেখে বাবা মা গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট যায়। তারা লকডাউনে আটকা পড়ে যায়। আর শিশুটিকে বাসায় একা রেখে নানী বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে হাত পাতার জন্য রাস্তায় বের হয়।
সেই সুযোগে ১৯মে মঙ্গলবার দিনের বেলা কোন এক সময় সু-কৌশলে চান মিয়া তার ঘরে নিয়ে শিশুটিকে জোর করে ধর্ষণ করে। বাসায় নানী ফিরলে শিশুটি তাকে সব জানিয়ে দেয়। ওই শিশুর নানী বাড়িওয়ালাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে বাড়িওয়ালা চান মিয়ার সাথে আতাত করে শিশুর নানীর হাতে এক হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি মিমাংসা করে দেয়। ঘটনাটি যখন এলাকায় জানাজানি হয় তখন বাড়িওয়ালা চাঁন মিয়াকে আত্মগোপনে যেতে সুযোগ করে দেয়।
বাড়িওয়ালার এমন আচরণ দেখে পরে শিশুটির নানী ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ চান মিয়ার মেয়ের বাসা জামতলা হতে আটক করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির নানী ফতুল্লা মডেল থানা মামলা দায়ের করে।