সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। ২৯ মে শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি প্রয়াত এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে আইনজীবী সাখাওয়াত বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হলে জিয়াউর রহমান দেশের সিপাহী জনতাকে নিয়ে বিপ্লবের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে কিছু দুস্কৃতিকারী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই দেশপ্রেমিক বীর সেনানীকে হত্যা করে আবারো দেশে দু:শাসন কায়েম করে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মহান এই নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং প্রতিটি নেতাকর্মীকে শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে আগামী দিনে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরার প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
সাখাওয়াত আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান দেশ ও দেশের মানুষের জীবন মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছিলেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দেশের মানুষের জন্য তিনি সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান; জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি; বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া; দেশে কৃষি বিপ্লব, গণশিক্ষা বিপ্লব ও শিল্প উৎপাদনে বিপ্লব; সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারী সহায়তার সমন্বয় ঘটিয়ে ১৪০০ খাল খনন ও পূণর্খনন; গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করে অতি অল্প সময়ে ৪০ লক্ষ মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দান; গ্রামাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান ও গ্রামোন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) গঠন; গ্রামাঞ্চলে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি বন্ধ করা; হাজার হাজার মাইল রাস্তা-ঘাট নির্মাণ; ২৭৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ; নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপনের ভেতর দিয়ে অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ; কলকারখানায় তিন শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি; কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশকে খাদ্য রপ্তানীর পর্যায়ে উন্নীতকরণ; যুব উন্নয়ন মন্ত্রাণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুব ও নারী সমাজকে সম্পৃক্তকরণ; ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্টা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন; তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন; জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আসনলাভ; তিন সদস্যবিশিষ্ট আল-কুদস কমিটিতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি; দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ‘সার্ক’ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ; বেসরকারিখাত ও উদ্যোগকে উৎসাহিতকরণ; জনশক্তি রপ্তানি, তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্পসহ সকল অপ্রচলিত পণ্যোর রপ্তানীর দ্বার উন্মোচন; শিল্পখাতে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ।