সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকায় দিনের বেলায় ব্যাংকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র্যাব-১১ এর চৌকশ অভিযানে ৬ ব্যাংক ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় তার কাছ থেকে বিদেশী পিস্তর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। ৭ জুন রবিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ৭ জুন দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন উত্তর চাষাড়াস্থ আর্মি মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সশস্ত্র ব্যাংক ডাকাত চক্রের সদস্য মোঃ ওমর ফারুক (২৫), ইমরান ভুঁইয়া ওরফে ইমু (৩১), ফয়সাল (২০), সিব্বির আহমেদ (২৪), সালাউদ্দীন (২৩) ও সুবজ (১৯)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে, একজনের বাড়ি সোনারগাঁয়ে ও আরেকজনের বাড়ি নরসিংদী।
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ হাতেনাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের দখল হতে ২ রাউন্ড গুলি সহ ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি চাপাতি, ৩টি রামদা, ১টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, তারা সশস্ত্র ব্যাংক ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে ব্যবসায়ীগণ নগদ টাকা উত্তোলন করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোবাসযোগে সশস্ত্র অসস্থায় নির্জন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি করে আসছে। এই ডাকাত দলের সদস্যরা প্রধানত নারায়ণগঞ্জের বড় বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে থাকে। যে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করে তারাই মূলত এই ডাকাত চক্রের প্রধান টার্গেট। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার পর থেকেই এই ডাকাত দল মাইক্রোবাসযোগে টাকা সহ ব্যবসায়ীকে অনুসরণ করতে থাকে। নির্জন স্থানে পৌঁছানো মাত্র মাইক্রোবাস দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যাংক থেকে উত্তোলিত টাকা ডাকাতি করে।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির সঙ্গে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্যরা জড়িত ছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। দুষ্কৃতিকারী ডাকাতরা ডাকাতি করতে গিয়ে জনসাধারণকে গুলি করা থেকে শুরু করে মারধর, ছুরিকাঘাত ও গাড়ি ভাংচুরসহ গুরুতর জখম করে থাকে। দীর্ঘদিন দিন ধরে তারা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের অপরাপর সহযোগীদের নিয়ে ডাকাতি করে আসছে। ডাকাতি সংক্রান্ত এই সকল তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ২ মাস যাবৎ গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে এই ডাকাত দলকে সনাক্ত করে র্যাব।
অতঃপর অত্র ব্যাটালিয়নের একটি চৌকস আভিযানিক দল কর্তৃক অদ্য ৭ জুন দুপুরে সময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের উত্তর চাষাড়াস্থ আর্মি মার্কেটের সামনে হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সশস্ত্র অবস্থায় সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ৬ সক্রিয় সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।