সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপ মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এই সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ কঠোর ভুমিকাও নেয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে হিমশিম খাচ্ছিল পুুলিশ। ততক্ষণে দুই গ্রুপের কয়েক হাজার মানুষের হাতে টেটা বল্লব জুইত্তা রাম দা বটি কাস্তে সহ নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও সংঘর্ষ চলছে। এমন সময় তাদের সামনে গিয়ে হাজির হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। তার অধম্য সাহসিকতার ফলে দুই গ্রুপের কয়েক হাজার মানুষের হাতে দেশীয় অস্ত্রের সামনে তার ভুমিকায় উত্তেজনা শান্ত হয়। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদি ইউনিয়ন এলাকায়। এর আগেও এই নির্বাহী কর্মকর্তা করোনা মোকাবেলায় ব্যাপক ভুমিকা রেখে আলোচিত হয়েছেন।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৮ জুন সোমবার সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৩জন আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে, গত ২৮ মে বারদি ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু ও চেঙ্গাকান্দী গ্রামের জমিলা মেম্বারের ছেলে সোহেল, জুয়েল, ফারুক মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
ওই সংঘর্ষে ইউপি সদস্য হাবুকে কুপিয়ে জখম করে সোহেল গ্রুপের লোকজন। এ ঘটনার জের ধরে ৭ জুন রবিবার বিকেলে হাবু মেম্বারের ছেলে শান্তিরবাজারে চটপটির দোকানে বসা অবস্থায় সোহেল গ্রুপের লোকজন তাকে মারধর করে।
পরে আজ সোমবার সকালে মাইকে দুই গ্রামের লোকজনদের মাঠে নামার ঘোষণা দিলে মান্দারপাড়া গ্রামের হাবু মেম্বার, চোঙ্গাকান্দী গ্রামের জমিলা মেম্বারের ছেলে সোহেল, জুয়েল ও ফারুক মেম্বারের সমর্থকরা দেশী তৈরী অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে ৮/১০টি ককটেল নিক্ষেপ ও দফায় দফায় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খরব পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
পরে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। ওই সময় উত্তেজিত লোকজন দেশীয় অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত ছিল। তিনি উভয় গ্রুপের লোকজনদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বস্থ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের উত্তেজিত জনতাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, বারদী ইউনিয়নের মান্দারপাড়া ও চেঙ্গাকান্দীর দুই গ্রামের মধ্যে আজ সকালে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।