ডিসির হস্তক্ষেপে বন্দরে মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষকদের জমি উদ্ধার করলেন এসিল্যান্ড

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পার্ক নির্মাণের নাম করে বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ অসহায় নিরীহ কৃষকদের ফসলী জমি বেকু দিয়ে কেটে দখলের চেষ্টাকালে জমি উদ্ধার করে দিয়েছেন বন্দর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা সুলতানা নাসরিন। একই সঙ্গে তিনি বেকুর চালক সহ ২ সহযোগীকে আটক করা হয় এবং মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন।

৮ জুন সোমবার সকাল ১১টায় বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলা এলাকায় নদীর পাড় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, আবদুল মারুফ, তাহেরুল ইসলাম, নেছার আহাম্মদ, রেজাউল করিম ও হাবিবুর রহমান সহ এলাকার নিরীহ কৃষকরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি সংলগ্ন পয়স্তি জমিতে প্রায় ১০০ বছর ধরে শাক-সবজি ও ফসল চাষাবাদ করে আসছে।

তাদের অভিযোগ- সম্প্রতি নিরীহ কৃষকদের ওই সম্পত্তি দখলে নিতে দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার মৃত সাত্তার বেপারীর ছেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন ও তারই সহযোগী উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার এলাকার মৃত সানোয়ার মিয়ার ছেলে বাদল সহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র নানা কূটকৌশল চালায়।

এ লক্ষে গত ২৫ রমজান পার্কের উন্নয়ন কাজের টেন্ডার হয়েছে বলে করোনা পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম ঘটিয়ে মিলাদ মাহফিল করে এবং মিলাদ শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে (রোজার দিনেও) মিষ্টি বিতরণ করে। বিষয়টি এলাকায় হাস্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।

কাউন্সিলর এনায়েত-বাদল ও তাদের লোকজন সোমবার সকাল থেকেই কাউন্সিলর এনায়েত-বাদল গং বেকু দিয়ে ওই সকল জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীনের নির্দেশে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা সুলতানা নাসরিন ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে বেকু চালকসহ ২জনকে আটক করেন।

পরে তিনি এনায়েত-বাদল গংয়ের মাটি কাটা কাজ বন্ধ করে দেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে এলাকাবাসী ও নিরীহ জমি মালিকরা ধন্যবাদ জানান।