সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সন্তান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম এমপি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৩ জুন শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক সহ মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ।
শনিবার এক শোক বার্তায় তিনি জানান, ‘মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক কিংবদন্তী নাম। তার মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতিতেই বিশাল এক শূণ্যতা তৈরি করলো। ৭৫’র পর সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করতে চষে বেড়িয়েছেন দেশের প্রতিটি জায়গাতে। মানুষের অধিকার আদায়ে কখনো পিছপা হননি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের সময় পুলিশি নির্যাতনের মুখেও কখনো রাজপথ ছাড়েননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে তিনি সব সময় সক্রিয় থেকেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতি ও সকল আন্দোলনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের রয়েছে অপরিসীম অবদান। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আল্লাহ যাতে তাকে জান্নাত নসীব করেন সেই দোয়া জানাচ্ছি ও শোক সন্তপ্ত সমগ্র পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি’।
উল্লেখ্য, রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টা করে পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিকেল বোর্ড। এর মধ্যেই পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি তাঁর শরীরে। কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকলেও গত বৃহস্পতিবার রক্তচাপ অস্বাভাবিক ওঠানামা করতে থাকে নাসিমের। এরপর গতকাল শুক্রবার পরিস্থিতি আরও জটিল হতে থাকে। হৃদযন্ত্রে জটিলতা দেখা দেয়।