সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
মরণব্যাধি কারোনা ভাইরাসে সারাদেশের মত পুরো আড়াইহাজার উপজেলা স্থবির। ইতিমধ্যে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আড়াইহাজার উপজেলার মানুষ রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। স্কুল কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে গরীব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারগুলো রয়েছে চরম বিপাকে। অর্থাহারে অনাহারে কাটাচ্ছেন দিন।
এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের ভুমিকা দেখা যাচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বের লড়াইয়ে অন্যতম দেখা যায় বিএনপির ছাত্রদলের মাঝে। কিন্তু ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে বেশকজন গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেও অধিকাংশ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নাই গরীব মানুুষের পাশে।
এমন পরিস্থিতিতে আড়াইহাজারে নিজের সাধ্যমত গরীব অসহায় দুস্থ দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রদলের এই নেতা। শুধু ছাত্রদল নেতা হিসেবেই নয় তিনি মানবতার খাতিরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। ছাত্রদলের রাজনীতিতেও রয়েছে তার সক্রিয় ভুমিকা।
করোনা পরিস্থিতিতে ভুমিকা রাখা ছাত্রদলের এই নেতা স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে বলেন, আমার রাজনৈতিক গুরু আড়াইহাজার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। আমি খসরুকে আমার অভিভাবক মনে করতাম। তার চলে যাওয়া আড়াইহাজারবাসীর জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। আগামী ১১ জুলাই তার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। আমি শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ করছি এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি যেন আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু আড়াইহাজারবাসীর কাছে তার রেখে যাওয়া সুযোগ্য পুত্র সন্তান আড়াইহাজার বিএনপির ভবিষৎ মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনি আমাদের বটবৃক্ষের মত সবর্দা ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন। আমিও মূলধারা সুমনের সঙ্গে সমন্বয় করে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি।
তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীবের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অতি বিচক্ষণ ব্যক্তি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমার বিশ্বাস তারা আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের নেতৃত্ব একজন যোগ্য ব্যক্তির হাতে তুলে দিবেন। কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে শীর্ষ পদে স্থান করে তাদের দীর্ঘদিনের সুনাম ম্লান করবেন না।