সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বোনের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন আপন ভাই আবুল কাসেম। সেই সম্পত্তির অংশ বোনকে বুঝিয়ে দেননি তিনি। যার ফলশ্রুতিতে ভাগনের বুটির কুপে লাশ হতে হলো মামা আবুল কাসেমকে। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের সনমান্দি গ্রামে।
২১ জুন রবিবার রাতে ওই এলাকায় মামা ভাগনের মাঝে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটি এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ভাগনে হৃদয়। সেই বটির কুপে গুরুত্ব আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় অবশ্য স্থানীয়রা আটক করে হৃদয়কে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের মৃত হোসেন আলীর বাড়িতে মদনপুর থেকে বিকেলে বেড়াতে আসেন তার মেয়ে রূপবান ও রূপবানের ছেলে হৃদয়। রূপবান ও তার ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে মামা আবুল কাসেম ও তার স্ত্রী শামসুন্নাহারের সঙ্গে বসত বাড়ীর মালিকানা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এরি মাঝে ভাগনে হৃদয় বসত বাড়ির অংশ নিজেদের পাওনা দাবি করে গাছের কাঠাল কাটতে যায়।
এ সময় আবুল কাসেম বাঁধা দিলে ভাগনে হৃদয় তার হাতে থাকা বটি দিয়ে আবুল কাসেমকে কুপাতে থাকে। তার স্ত্রীকেও আহত করা হয়।
এ ঘটনায় আবুল কাসেমের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ভাগনে হৃদয়কে আটক করে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে। খবর পেয়ে পুুলিশ এসে তাকে আটক করে।
এদিকে স্থানীয়রা আহত আবুুল কাসেমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী আরো জানায়, গত ১০ বছর পূর্বে পাশের বাড়ির একজনকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যার দায়ে আসামি হন নিহত আবুল কাসেমের মা। ওই মামলায় তার মায়ের যাবজ্জীবন সাজা হয়।
কয়েক বছর পূর্বে তাদের বসত বাড়ি বিক্রি করে তার মাকে জেল থেকে বের করা হয়। এরপর তারা ওই এলাকায় পরিবারের সবাই মিলে ৫ শতাংশ জমি কিনেন। রবিবার সন্ধ্যায় রূপবান সেই জমির মালিকানা বুঝিয়ে দিতে ভাই কাসেম আলীকে চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেই হত্যার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফ মিয়া জানান, আবুল কাসেমকে হত্যার ঘটনায় তার ভাগনে হৃদয়কে আটক করা হয়েছে। কাসেমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।