সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে করোনা টেষ্ট বন্ধের কারন জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান। তিনি জানিয়েছেন রেড কীট এসেছে। ইয়োলো কীট না আসায় নারায়ণগঞ্জে করোনা টেষ্ট কার্যক্রম বন্ধ। ২২ জুন সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ বিষয়টি জানান। এর আগে তিনি জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, দুই প্রকার কীট দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়। রেড এবং ইয়োলো কীটের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের পিসিআর মেশিনে ইয়োলো কীট সাপোর্ট করে কিন্তু এবার এসেছে রেড কীট। তাই সামযিয়ক পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শামীম ওসমান বলেন, টেষ্টের জন্য ৩০হাজার কীটের অর্ডার দিয়েছে সরকার। যার মধ্য ২০হাজার রেড কীট এবং ১০হাজার ইয়ালো কীট। আমাদের যে পিসিআর মেশিনটি রয়েছে তা ইয়ালো কীট এলাও করে। কিন্তু যাকে কীটের অর্ডার দেয়া হয়েছে তিনি ৩০ হাজার কীটই এনেছেন রেড।
শামীম ওসমান হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা টেষ্ট নিয়ে ব্যবসা করতে চান, ধান্ধা করতে চান, বি-কেয়ারফুল। এটা জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা, কাউকে ছাড় দিবেন না, টাইম ইজ কামিং। সন্তান যেমন মাকে চিনে, আমি তেমন শেখ হাসিনাকে চিনি। কোন ছাড় পাবেন না।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের বিষয়ে তিনি বলেন, খাদ্যের প্রশ্নে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানে পুলিশ গিয়েছে। সাংবাদিক গিয়েছে। ডিএনডির সমস্যা হয়েছে, সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছে। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এগিয়ে এসেছে পানি নেমে যাচ্ছে। আমি সন্তুষ্ট কারন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, সচিব তারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে। এসএসএফ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব তারাও এগিয়ে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থা তারাও এগিয়ে আসছে। যাদের দায়িত্ব না তারাই এগিয়ে আসছে। কিন্তু যাদের কাজ তারা কেনো দায়িত্বহীনতায় ভূগছে?
তিনি জানান, প্রো-এক্টিভ মেডিকেল কলেজের আইসিইউ সাপোর্ট আছে। কিন্তু কিছু নার্স ও ডাক্তারের দরকার। আল বারাকা হসপিটাল ওনাদের অক্সিজেন সাপোর্ট আছে, কিন্তু আইসিইউ নেই। তারাও আজ থেকে করোনা রোগী ভর্তি করাবে। আমি ওনাদের প্রশ্ন করেছিলাম আপনারা কি সরকারের কাছে কোন ব্যানিফিট চান? তারা বলেছেন, আমরা কোন ব্যানিফিট চাইনা আল্লাহর কাছে আল্লাহর রহমত চাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কতগুলা রোগী ভর্তি হবে, কিভাবে চিকিৎসা হবে সেগুলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনকে রিপোর্ট করবেন।
৫হাজার টাকার বিনিময়ে বাহির থেকে করোনা টেষ্ট করা হয়ে এবং খুব দ্রুত রিপোর্ট দেওয়া হয় এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের খুব বড় বড় সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছি। এই ছোট ছোট সমস্যাগুলা শীঘ্রই সমাধান করা হবে। যারা এমন বানিজ্যের সাথে জড়িত তারা নারায়ণগঞ্জে থাকতে পারবেনা বলেও হুশিয়ারী দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও করোনার ফোকাল পারসন ডা: জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।