জনকল্যাণমূলক কাজে সহযোগীতা করায় কাউন্সিলর শকুর ধন্যবাদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে উত্তর চাষাড়া, মাঊরাপট্টি থেকে তল্লা বড় মসজিদ এলাকা পর্যন্ত গঞ্জে আলী খাল পুণঃখনন কাজ শুরু হয়েছে। খালটি যে পর্যন্ত সচল না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পূণঃখনন কাজ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু।

এদিকে খালটি উদ্ধার ও পূণঃখনন কাজে সহযোগিতা করায় এমপি একেএম সেলিম ওসমান, এমপি একেএম শামীম ওসমান ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন কাউন্সিলর ও ওয়ার্ডবাসী।

২৮ জুন রবিবার সকাল ১০টা থেকে তল্লা রেললাইন থেকে এই কাজের উদ্বোধন করেন কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাসিকের প্রকৌশলী খন্দকার নাজমুল আলম, প্রকৌশলী রাশেদ মোল্লা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ, স্বাধীন আহম্মেদ মিঠু সহ অন্যান্যরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গঞ্জের আলী খালের তল্লা রেললাইনের এলাকায় পলিথিন ও জুটের জট দেখা গেছে। ৩টি ভেকু দিয়ে পরিস্কার কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী উচ্ছেদ ও খাল পূণঃখননের জন্য নাসিক কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন জানায়। এ সময় খালটি পূণঃখনন পর যেন পূণরায় দখলে না যেতে পারে, সেদিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

তল্লা বাসিন্দা শফিউদ্দিন বলেন, গঞ্জের আলী উপর দিয়ে হাজারো দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোতে জুটের গোডাউন, হোটেল, রিক্সা-অটো গ্যারেজ ও ক্লাবের আড্ডা খানা। প্রতিদিন এসব দোকানগুলো বসে মাদকের হাট ও সেবন জমজমাট ছিল। অনেক সময় বাধা দিলে, নিজের উপর হুমকি আসত। যাক মহান আল্লাহ কাছে শুকরিয়া, জলাবদ্ধতা কারণে গঞ্জে আলী খালটি পূণঃখননের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে এসব দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।

খানপুরের জামাল বলেন, খালটি পূণঃখনন করে জলাবদ্ধতা নিরসনে যে কাজ শুরু করেছে, তাতে আমরা সাধুবাদ জানায়। ঐতিহ্যবাহী গঞ্জে আলীটি ছোট থেকে দেখতাম পানি ¯্রােতের মত ছুটতো। এখন যত বছর বৃদ্ধি হচ্ছে, ততই স্লোত কমে যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেক সময় প্রতিবাদেও করেছি কিন্তু মূল্যায়িত হয়নি।

কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু বলেন, দীঘদিন যাবৎ কৃত্রিম জলাবদ্ধতা কারণে জনজীবনের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। রাতে বেলায় অনেকে ভালো ঘুমিয়ে ছিল, সকালে উঠে দেখে ঘরে খাটে নিচে পানি জমে উঠেছে। এর কারণে ঘরে ও বাহিরে মানুষ বের হতে পারে না। উত্তর চাষাড়া থেকে সরদারপাড়া পর্যন্ত জলাবদ্ধতা হয়ে থাকতো। সব অবৈধ দখলদের দখলে কারণে এসব পানি সৃষ্টি হত। এখন নাসিকের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও এমপিদের সহযোগিতা কারণে আজ খাল পূণঃখননের কাজ শুরু করা হল। ইতিমধ্যে অনেক খাল খননের জন্য দখলদাররা তাদের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। যে পর্যন্ত গঞ্জে আলী খাল সচল না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পূণঃখনন কাজ চলমান থাকবে।