সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার স্বামীকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবতা ভিন্ন এবং কেউ কেউ জানিয়েছেন শাহীন আহম্মেদ পরকীয়ায় জড়িত। এটাই স্ত্রী বাধা দিয়েছেন। যার ফলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ। ১ জুলাই জুন স্বামী শাহীন আহাম্মেদ বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দী গ্রামের সাহাবুদ্দিনের ছেলে শাহীন আহাম্মেদের সাথে দেড় বছর পূর্বে হাজিরটেক গ্রামের সিরাজুলের মেয়ে খাদিজা (২৫) এর সঙ্গে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী খাদিজা স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন। স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়েও স্বামী ব্যর্থ হন। স্ত্রীর খারাপ আচরণের কারন খুঁজতে গিয়ে দেখেন রাধানগর গ্রামের অনু মিয়ার ছেলে নাসির (৪০) এর সাথে খাদিজার পরকিয়া প্রেম চলছিল। এরই কারনে সে স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে।
গত ২৯ জুন বেলা ১২টার দিকে স্ত্রী খাদিজা মার্কেট করার কথা বলে স্বামীকে নিয়ে কালাপাহাড়িয় থেকে আড়াইহাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তারা খাগকান্দা হতে রিকসা যোগে উচিৎপুরা ব্রিজের কাছে পৌছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা পরকিয়া প্রেমিক নাসির এবং তার সহযোগীরা স্বামী শাহীনকে চোখ বেধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরে শাহীনকে মারধর করে তার ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ২লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। অপহরণকারীদের কথামত ২ লাখ টাকা পরিশোধ করলে ৩০জুন শাহীনকে চোখ বেধে উচিৎপুরা হাজী বেলায়েত কলেজ রোডে নির্জন স্থানে ফেলে যায়।
শাহিন আরও জানান, স্ত্রী খাদিজা এবং তার পরকিয়া প্রেমিক নাসির সহ আরো কয়েকজন তাকে রশি দিয়ে বেধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। এ ব্যাপারে শাহীন আহাম্মেদ বাদী আড়াইহাজর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আড়াইহাজার থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।