সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আওতাধীন বিভিন্ন থানা/উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটে কমিটি গঠনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এমন গুঞ্জনে মাঠে নেমেছেন পদ প্রত্যাশি ছাত্রদল নেতারা। যাদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন রাসেল মিয়া।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- দীর্ঘদিন হয়েছে নেই আড়াইহাজারে ছাত্রদলের কোন প্রকার কমিটি। অনেকটা অভিভাবকহীনভাবেই চলছে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদল। দীর্ঘদিন ধরে করোনা মহামারি থাকার কারণে কমিটি দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সম্পত্তি সোনারগাঁও উপজেলা শহীদ জিয়া ছাত্র পরিষদ ও বেসসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ শাখার কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার ফলে সামনে চলে আসে সারা দেশের থানা ও উপজেলা ছাত্রদল কমিটিগুলো নেতৃত্ব নিয়ে। ইতিমধ্যে উপজেলা ও থানা ছাত্রদলের কমিটিগুলোতে নিজেদের পছন্দ মত পদে স্থান করে নিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরাও পিছিয়ে নেই। তারাও ছুটছেন নিজেদের পছন্দ মত পদ বাগিয়ে নিতে। দাড়স্থ হচ্ছেন বড় ভাই কিংবা নীতি নির্ধারক নেতাদের কাছে।
এদিকে আড়াইহাজার উপজেলা থেকে ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসতে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- মেহেদী হাসান, জুবায়ের রহমান জিকু, মোঃ অলিউল্লাহ, ফেরদৌস মিয়া, রুহুল আমিন, রাসেল মিয়া, তুষার মোল্লা, রতন আহমেদ, ইয়ামিন হাসান, মোতাহের হোসেন রাফেল মত নেতাদের। এদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসলেও সামান্যতম ওয়ার্ডের মধ্যে নিজেদের নামখানি লিপিবদ্ধ করতে পারেননি। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে নিজেকে সক্রিয় রাখতে গিয়ে বিনিময়ে শিকার হতে হয়েছে ক্ষতাসীন দল আওয়ামীলীগ দ্বারা বিভিন্ন হামলা মামলা।
আর এমনই একজন ছাত্রদল নেতা হলেন রাসেল মিয়া। যিনি দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও একটি ওয়ার্ডে নিজের নামটি লিখে নিতে পারেননি। বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও ছাত্রদলের কমিটিতে নিজের নামটি স্থান করে নিতে রয়ে গেছেন অবিবাহিত।
তিনি ২০১০ সালে কলাগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি ও ২০১২ সালে সরকারি সফর আলী কলেজ থেকে সফলতার সাথে এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে তিনি সরকারি সফর আলী কলেজে ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত আছেন।
অন্যদিকে আলোচনায় ওঠেছেন ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান। কমিটি না হওয়ার কারনে কোন পদে ছিলেন না। রাজনীতি করতে গিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে থেকে শিকার হতে হয়েছে নানা নির্যাতন ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের হামলা মামলার। আর হামলা মামলার ভয়ে থেমে যাননি তিনি রয়েছেন রাজপথেই। যার কারনে আড়াইহাজারে তৃণমূলের মাঝে আলোচনায় মেহেদী হাসান। তিনি সভাপতি পদপ্রত্যাশি।
ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান বলেন, আমার রাজনৈতিক গুরু আড়াইহাজার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। আমি খসরুকে আমার অভিভাবক মনে করতাম। তার চলে যাওয়া আড়াইহাজারবাসীর জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু আড়াইহাজারবাসীর কাছে তার রেখে যাওয়া সুযোগ্য সন্তান মাহমুদুর রহমান সুমন আমাদের বটবৃক্ষের মত সবর্দা ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন। আমিও মূলধারা সুমনের সঙ্গে সমন্বয় করে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি।
তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিবের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অতি বিচক্ষণ ব্যক্তি। আমার বিশ্বাস তারা আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের নেতৃত্ব একজন যোগ্য ব্যক্তির হাতে তুলে দিবেন। কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে শীর্ষ পদে স্থান করে তাদের দীর্ঘদিনের সুনাম ম্লান করবেন না।
এখানে উল্লেখ্যযে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ শাখা ছাত্রদল, ও সোনারগাঁও উপজেলা শহীদ জিয়া ছাত্র পরিষদের কমিটি ঘোষণা করেছেন নীতিনির্ধারকরা। যার ফলে সারা দেশের ন্যায় আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসতে নেতারাও নড়েচড়ে উঠেছেন কমিটিতে স্থান করে নিতে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলার সবগুলো থানা, উপজেলা ও কলেজ শাখার কমিটি দিয়ে দিব। কেন্দ্র থেকে আমাদের কমিটি দেওয়ার নির্দেশ আছে।