সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নেই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি। অনেকটা অভিভাবকহীনভাবেই চলছে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদল। তবে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ছাত্রদলে কমিটি দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছেন জেলার শীর্ষ নেতারা। ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে কিংবা আহ্বায়ক কমিটি হলে নেতৃত্বে আসছেন ছাত্রদলে কারা? যদিও নেতৃত্ব প্রত্যাশি ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ অলিউল্লাহ।
স্থানীয়দের সূত্রে, ছাত্রদল নেতা অলিউল্লাহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মরহুম গাফফার চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজা। পারিবারিকভাবেই তিনি একজন বিএনপির পরিবারের সন্তান। তার বাবা মোতালেব ভূঁইয়া ছিলেন বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি ২০১০ সালে আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১২ সালে সরকারি সফর আলী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
পরবর্তীতে তিনি খিলগাঁও মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। যিনি দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির পিছনে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে গেলেও কমিটি না হওয়ার কারনে তার কপালে ঝুটেনি একটি ওয়ার্ডের সদস্য পদও। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে নানা নির্যাতন ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের অত্যাচার। শত নির্যাতনেও থেমে যাননি তিনি। যার কারনে আড়াইহাজারে ছাত্রদলের কমিটির বিষয়ে আলোচনায় আছেন সভাপতি পদ প্রত্যাশি মোহাম্মদ অলিউল্লাহ।
ছাত্রদল নেতা অলিউল্লাহ সান নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমার রাজনৈতিক গুরু আড়াইহাজার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। আমি খসরুকে আমার অভিভাবক মনে করতাম। তার চলে যাওয়া আড়াইহাজারবাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আগামী ১১ জুলাই তার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। আমি শ্রদ্ধার সহিত তাকে স্মরণ করছি এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি যেন আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু আড়াইহাজারবাসীর কাছে তার রেখে যাওয়া সুযোগ্য সন্তান মাহমুদুর রহমান সুমন আমাদের বটবৃক্ষের মত সবর্দা ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন। আমিও মূলধারা সুমনের সঙ্গে সমন্বয় করে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীবের প্রতি আস্থা রেখে এই ছাত্রদল নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অতি বিচক্ষণ ব্যক্তি। আমার বিশ্বাস তারা আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের নেতৃত্ব একজন যোগ্য ব্যক্তির হাতে তুলে দিবেন। কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে শীর্ষ পদে স্থান করে তাদের দীর্ঘদিনের সুনাম ম্লান করবেন না।